নারায়ণগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ পোশাক কারখানা, শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়ক অবরোধ

শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ
শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ | ছবি: এখন টিভি
1

নারায়ণগঞ্জে পৃথক দুটি পোশাক কারখানায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাময়িক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। নগরীর এস এম মালেহ রোড এলাকায় অবস্থিত রাসেল গার্মেন্টস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে আজ (বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কারখানাটির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।

শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিনের মতো সকাল ৮টায় কারখানার গেটে এসে তালা ঝুলতে দেখেন এবং সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ সাঁটানো ছিল। পরে একে একে শ্রমিকরা জড়ো হয়ে কারখানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষোভ চলাকালে শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠানটির সামনের আঞ্চলিক সড়কে কিছু সময়ের জন্য অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি, অশোভন আচরণের অভিযোগে কারখানার জিএম গোলাম মোস্তফার অপসারণ, শ্রম আইন অনুযায়ী ছুটি প্রদান, অনিয়মতান্ত্রিক শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ মোট ১৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।

আরও পড়ুন:

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হালিম জানান, শ্রমিকরা জিএম-এর অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

অন্যদিকে, সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় অবস্থিত কোরেশ বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানায় নভেম্বর ও চলতি ডিসেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেন। একপর্যায়ে বেলা পৌনে ১টায় শ্রমিকরা ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে সড়কে সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয়।

কারখানা সূত্রে জানা যায়, বিজিএমইএভুক্ত সোয়েটার ক্যাটাগরির এই প্রতিষ্ঠানে মোট ৩০০ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। খবর পেয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের আশ্বাসের পর দুপুর পৌনে ২টায় শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।

ইএ