আজ (সোমবার, ২২ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সোনাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোতালেব শিকদারকে দ্রুত উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি কৃষিকাজের উদ্দেশ্যেও কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বিজিবি অতিরিক্ত চেকপোস্ট স্থাপন ও টহল বাড়িয়েছে। সীমান্তের প্রতিটি প্রবেশপথে যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে।
বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।’
আরও পড়ুন:
এদিকে হামলার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
এ ঘটনার পর হামলাকারীরা যেন সীমান্ত কিংবা শহর পথে পালিয়ে যেতে না পারে, সে উদ্দেশে সাতক্ষীরা সীমান্তে নজরদারি জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন সাতক্ষীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরাফাত হুসাইন।
নিজের ফেসবুক পোস্টে আরাফাত হুসাইন লেখেন, ‘সাতক্ষীরা বর্ডার দিয়ে, বিশেষ করে বর্ডারের ঘাট ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশদ্বার দিয়ে কোনোভাবেই খুনি পালিয়ে না যেতে পারে। দ্রুত বর্ডার সিল ও কঠোর চেকপোস্ট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। খুলনায় এনসিপি নেতার ওপর গুলিবর্ষণের আসামি কোনো মতেই যেন বর্ডার অথবা শহর থেকে পালিয়ে না যেতে পারে।’





