আজ (শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে আটটায় উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া মাদ্রাসা মাঠে একই সময় খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর সুমনের আঙ্গিনায় জামাত দুটি অনুষ্ঠিত হয়। আয়ড়া মাদরাসা মাঠে ইমাম পারভেজ জামাতের ইমামতি করেন এবং খয়ের বাড়িতে দোলোয়ার হোসেন ইমামতি করেন।
সরেজমিনে উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার আশপাশের গ্রাম থেকে কেউ ভ্যানে আবার কেউ সাইকেল বা মোটরসাইকেলে একত্রিত হচ্ছেন নামাজ আদায় করার জন্য।
বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে মাদরাসা মাঠে ইমাম পারভেজ ইমামতিতে নামাজ শুরু হয়।
সৌদি আরবের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার বিষয়ে জানতে চাইলে খয়ের বাড়ি জামাতের ইমাম মো. দোলোয়ার হোসেন কাজি বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। এই তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই এই নামাজ আদায় করা।’
ইমাম দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করছি।’
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ‘বিরামপুর উপজেলায় জোতবানি এবং বিনাইল দুটি ইউনিয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুটি জামায়াতে ২ শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।’