পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে জিতু ইসলামের বিরুদ্ধে আগে থেকেই হত্যা, ডাকাতি ও মাদকসহ অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া শহরের শীববাটি এলাকায় নিহত শাকিল আহম্মেদ তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিলেন প্রায় ৪৫ বছর বয়সী প্রতিবেশী জিতু ইসলাম। সম্প্রতি তিনি মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। শাকিল প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন জিতু।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে রিকশা নিয়ে বের হন শাকিল। ১০টার দিকে জিতুর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জিতু ও তার লোকজন শাকিলকে প্রকাশ্যে মারধর করে ছেড়ে দেয়। পরে আবারও বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় বেধড়ক পেটানো হয় শাকিলকে।
নিহতের ছোট বোন বলেন, ‘ভাই মার খেয়ে আহত অবস্থায় বাড়ি আসে। আমাকে বলে, “আমাকে বাঁচাও, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।” আমি পাশের বাড়ি থেকে টাকা আনতে গেলে ফিরে এসে দেখি জিতুর লোকজন ঘর ঘিরে রেখেছে, তাদের হাতে অস্ত্র। তারা তালা ভেঙে ভাইকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যায়। পরে নদীর পাড়ে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।’
শাকিলের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানার ওসি জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত জিতুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।