জানা গেছে, গত রোববার (২৯ জুন) দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের তছিমোল্লা ডাঙ্গী গ্রামের একটি বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। আজ (সোমবার, ৩০ জুন) সকালে ওই শিশুর মামা বাদী হয়ে জেলার কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, টাকার লোভ দেখিয়ে ইজিবাইকে করে তছিমোল্লা ডাঙ্গী নিয়ে যাওয়া হয় ১০ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন ওই শিশুকে। এ সময় শিশুটি চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওমর আলী ও জুয়েলকে আটক করে। পরে পুলিশে খবর দিলে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ওমর আলীর বাড়ি ফরিদপুর সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নে এবং শহরের আলীপুর প্রামাণিক পাড়ায় বসবাস করেন মো. জুয়েল।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ওই শিশুটিকে ওমর আলী ধর্ষণ করে। তাকে সহায়তা করেছিল জুয়েল। অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।