গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় জানে আলম অপু গ্রেপ্তার

জানে আলম অপু
জানে আলম অপু | ছবি: সংগৃহীত
0

গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় পলাতক জানে আলম অপুকে ওয়ারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক। আজ (শুক্রবার, ১ আগস্ট) সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে এখন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।’

চাঁদাবাজির ঘটনায় এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজনকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ। প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামির রিমান্ড চলছে।

এর আগে, রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে কিছু নেতাকর্মী আটক হওয়ার ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে বহিষ্কার করা হয়। তবে জানে আলম অপু জানিয়েছিলেন, তিনি গ্রেপ্তার হননি এবং কোনো চাঁদাবাজির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন না।

আরও পড়ুন

গত (শনিবার, ২৬ জুলাই) রাতে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্যসচিব জাহিদ আহসান জানান, সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু এবং সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমানকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে অপু লেখেন, ‘প্রথমত আমি গ্রেপ্তার হইনি, দ্বিতীয়ত আমি কোথাও চাঁদাবাজিও করিনি। আজকের গুলশানের ঘটনায় আমি কোনোভাবেই জড়িত ছিলাম না।’ তিনি আরও জানান, যে ভিডিওটিকে চাঁদাবাজির প্রমাণ বলা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা তিনি শিগগিরই গণমাধ্যমের সামনে দেবেন।

চরম মানসিক চাপে আছেন জানিয়ে অপু লিখেছিলেন, ‘এত মানুষের কল, মেসেজ, সোশ্যাল মিডিয়ার লেখালেখি—সব মিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই কোনো কালক্ষেপণ না করে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি নিজের বহিষ্কার আদেশকে সাদরে গ্রহণ করছি এবং ছাত্রসংসদের জিরো টলারেন্স নীতিকে সাধুবাদ জানাই।’

আরও পড়ুন

গত বুধবার ডিএমপি ব্রিফিংয়ে ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর নাখালপাড়ায় রিয়াদের ভাড়া বাসা থেকে ৪টি চেক উদ্ধার করা হয়। চেক ৪টি মোট দুই কোটি ২৫ লাখ টাকার।

আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। চাঁদাবাজির ঘটনায় সংগঠন থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে তার বাড্ডার ভাড়া বাসায় (মেস) অভিযান চালিয়ে দুই লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে গুলশান থানা পুলিশ।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদের আরেকটি ভাড়া বাসার সন্ধান পেয়েছি আমরা। বাসাটি বাড্ডায়। শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে রাজ্জাকরা যে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছিল, তার মধ্যে দুই লাখ ৯৮ হাজার টাকা বাড্ডার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

এনএইচ