স্থানীয়রা জানান, অভি নারায়ণগঞ্জে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি কয়েকদিন পর পর এলাকায় আসতেন। ঘটনার ৪-৫ দিন আগে তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে এলাকায় আসেন। সম্প্রতি তার সঙ্গে স্থানীয় নাহিদ গাজীর (৩৫) সঙ্গে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। নাহিদ পেশাদার ডাকাত ও সন্ত্রাসী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।
অভির বন্ধু নুরে আলম ব্যাপারী জানান, রাত আনুমানিক সোয়া ৩টার দিকে নাহিদ ফোনে কল দিয়ে বলে, অভিকে খেয়ে ফেলেছি, তোকেও খেয়ে ফেলব। এ সময় ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কান্নার শব্দও শোনা যায় বলে তিনি দাবি করেন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। আসামি গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব বিরোধের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) মো. খায়রুল কবির বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম ও ডান চোখের ওপর মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, ‘নিহত ব্যক্তি মাদকাসক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা ছিল। স্থানীয় একটি চক্রের সাথে তার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ ছিল। আমরা তদন্ত করে এই খুনের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি।’