পুলিশ জানায়, হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সিয়াম নামে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত রাসেল ওই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে এবং বগুড়া ডায়াবেটিস হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্বজনদের বক্তব্য অনুযায়ী, বুধবার রাতের খাবারের পর পরিবারের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন রাসেল। মধ্যরাতে প্রতিবেশি কিশোর সিয়াম তাকে পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে ম্যাসেঞ্জারে কল করে বাড়ির বাইরে ডেকে নেয়। এরপর বাড়ির পাশে খোলা মাঠে নিয়ে গিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে বুক ও পিঠে উপর্যুপরি আঘাত করে সিয়াম। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে বাড়িতে ফিরে লুটিয়ে পড়েন রাসেল। পরে স্বজনরা দ্রুত তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর ঢাকায় পালানোর পথে বুধবার ভোরে বনানী এলাকা থেকে অভিযুক্ত সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করলে কড়া নিরাপত্তায় তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সিয়ামের দেখানো স্থান থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, অনলাইনে একাধিক অ্যাপে একসাথে জুয়া খেলতেন রাসেল ও সিয়াম। প্রায় এক মাস আগে জুয়ার খেলার পাওনা ২২ হাজার টাকা দিতে চাপ দিতে শুরু করেন রাসেল। এ নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, ‘নিহতের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। গ্রেপ্তার সিয়ামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’