বান্দরবানে পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩

ধর্ষণের অভিযোগে আটক ৩
ধর্ষণের অভিযোগে আটক ৩ | ছবি: এখন টিভি
0

বান্দরবানে রুমা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা সবাই তার বন্ধু বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানার অজুহাতে ৫ ধর্ষণকারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। জেলার রুমা উপজেলার পাইন্দু হেডম্যান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের অভিযুক্তরা হলো-রুমা উপজেলার পাইন্দু হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা ক্যাহ্লা ওয়াইং মারমা, ক্যওয়ং সাই মারমা, চহাই মারমা, উহাই সিং মারমা এবং ক্য সাই ওয়ং মারমা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ৫ যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ থাকলেও সামাজিক বিচার বসিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

পাইন্দু ইউপির ২নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও নিষিদ্ধ ঘোষিত পাইন্দু ইউপি আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গংবাসে মারমা, পাইন্দু মৌজার হেডম্যান মংচউ মার্মা ও পাইন্দু পাড়ার কারবারী (পাড়া প্রধান) থোয়াইসা মারমার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চরম ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর ভাষ্যমতে স্বজনরা জানান, চলতি মাসের প্রথমে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পাইন্দু হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা রাংমেশে মারমার ছেলে শৈহাইনু মার্মা। পরে তার মাধ্যমে অন্য বন্ধুরা বিষয়টি জানতে পারেন। সে অজুহাতে তারা ৫ বন্ধু মিলে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে একে একে ধর্ষণ করে।

পরে ধর্ষিত ছাত্রী কোনো উপায় না পেয়ে ধর্ষণের বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে এ ঘটনা পাড়ায় জানাজানি হয়। পারিবারিক সম্মতিতে পাড়া প্রধান থোয়াইসা মারমা’র বাড়িতে ধর্ষণ সংক্রান্ত সামাজিক বিচার বসে। বিচারে ৫ জন ধর্ষণকারীদের প্রতিজন ১০ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ জরিমানা কয়েকদিনের মধ্যে পরিশোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণের ব্যাপারে খবর পেয়েছি। এরইমধ্যে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

এএইচ