আজ (রোববার, ৭ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান নিহত নাফিউলের বাবা রেজাউল করিম ও মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিমা আক্তার।
নাসিমা আক্তার অভিযোগ করে জানান, বাড়ির সামনে জমি কেনার পর থেকে তাদের বিরোধ দেখা দেয় নাফিউলের চাচা ইব্রাহিম হোসেন-নজরুল ইসলাম এবং চাচাতো ভাইদের সঙ্গে।
তারই জেরে গত ২৪ এপ্রিল ওই জমির মাটি কাটা নিয়ে ঝগড়া বাধায় তারা। সেদিন তারা প্রকাশ্যে সবার সামনে নাফিউলকে হত্যার হুমকি দেয়। ৫ জুন ছটিতে বাড়িতে যান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নাফিউল।
৮ জুন রাতে খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। ৯ জুন সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলের মরদেহ দেখতে পান তার বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের দাবি, তার ছেলেকে তার চাচা ও চাচাতো ভাইরেরা মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
নাফিউলকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণা করার পর তার মা ছেলেকে ঢাকার গণবিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল হাসপাতালে নিতে চান। কিন্তু আসামিপক্ষের লোকজন মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অভিযুক্ত চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা নিজেরাই পরিবারের অনুমতি ছাড়াই মরদেহ গোসল করায় এবং তড়িঘড়ি করে জানাজা দাফন সম্পন্ন করেন।
গত ৪ আগস্ট নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, মামলার পরও অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও দেখছে না তারা। উল্টো নানাভাবে নাফিউলের বাবা-মাকে হয়রানী ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে অভিযুক্তরা। ছেলে হত্যার বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে ছেলে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ন্যায় বিচার দাবি নাফিউলের বাবা-মায়ের।





