তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ হচ্ছে সত্যিকারের ব্যাংক। যেখানে মানুষকে জামানতবিহীন ঋণ দেয়া হয়।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ব্যাংক প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর মতো হবে না। ব্যাংক চলবে বিশ্বাস ও আস্থার ওপর ভিত্তি করে। যেখানে ঋণ নিতে জামানত লাগবে না। এর পাশাপাশি এই ব্যাংকের বড় উদ্দেশ্য হবে সামাজিক ব্যবসাকে ছড়িয়ে দেওয়া।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা। আমরা ব্যাংকের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়ার সরঞ্জাম তার হাতে তুলে দেবো।’ বিনিয়োগের টাকা পেলে মানুষ বিশেষ করে তরুণরা নিজের বুদ্ধি দিয়ে ব্যবসা চালু করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক হলে নতুন উদ্যোক্তারা সহজে ঋণ পাবেন বলে জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি শুধু বাংলাদেশের জন্য কাজ করেছে তা নয়, পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করছে এই অথরিটি।’
ক্ষুদ্রঋণের সাফল্য তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস আরো বলেন, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারীরা কেউ টাকা মেরে চলে যায়নি। অথচ প্রচলিত ধারার অনেক ব্যাংক হাওয়া হয়ে গেছে। ব্যাংকের টাকা নিয়ে অনেকে উধাও হয়েছে। তাই আমাদের এখন প্রকৃত ব্যাংকের দিকে নজর দিতে হবে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।