হারানো ঐতিহ্যের রশির খাটলার কদর বাড়ছে

রশির খাটলা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা
রশির খাটলা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা | ছবি: এখন টিভি
0

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রশির খাটলার কদর বেড়েছে। তরুণ উদ্যোক্তাদের হাত ধরে বাড়ছে এর ব্যবহার ও প্রসার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রচারে বাড়ছে বিক্রি। ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে এর চাহিদা বেশি। এসব পণ্যের ডিজাইন ও সাইজের ওপর নির্ধারণ হয় পণ্যের মূল্য। খাটলার আকার অনুযায়ী দাম পড়ে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্রফেসর পাড়ার বাসিন্দা আব্দুস সালাম শ্যামল। ২০ জনের বেশি শ্রমিক নিয়ে শহরের আলিনগর এলাকায় গড়ে তুলেছেন ঐতিহ্যবাহী দড়ির খাটলা তৈরি কারখানা। এই কারখানা থেকে মাসে অন্তত ৭ লাখ টাকার খাট বা টুল বিক্রি করছেন তিনি।

আব্দুস সালাম শ্যামল বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্য সারাদেশে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। আমরা আশাবাদী, সারাদেশে এটা ছড়িয়ে দিতে পারবো। এবং সামনে এটাকে আমরা দেশের বাইরেও পাঠাতে চাই।’

নতুন উদ্যোক্তাদের হাত ধরে হারিয়ে যাওয়া খাটলার কদর বাড়ছে। কারিগররা জানালেন, অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সময় নিয়ে তৈরি করা হয় এসব খাটলা বা মাচিয়া।

কারিগররা জানান, তারা সবসময় চেষ্টা করেন ভালো কাঠ, দড়ি এবং কোয়ালিটি নিশ্চিত করার। কাঠ কাটা থেকে দড়ি বুনন সব কাজই করেন তারা নিজের হাতে। এ কাজের মাধ্যমে পারিশ্রমিক অর্জন করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা।

জেলা চেম্বার অব কমার্স দাবি করছে, যদি সরকারের পক্ষ থেকে এই তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাবে খাটলার কদর।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওহেদ বলেন, ‘খাটলা তৈরি হচ্ছে এবং বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে। যেসব উদ্যোক্তা এসব ফ্যাক্টরি করেছে তাদেরকে স্বল্প সুদে লোন দিয়ে সাহায্য যদি সরকার করে তাহলে এটি ঐতিহ্যকে আরো ভালো করে ধরে রাখতে পারবে।’

ইএ