দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা রাজশাহী যেমন কৃষিজ উৎপাদনে সমৃদ্ধ, তেমনি এখানে বাড়ছে ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ফলে রাজশাহীর সঙ্গে যোগাযোগ বেড়েছে খুলনা ও বরিশালের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার।
রাজশাহীর বানেশ্বর থেকে এ পথ গেছে বাঘা হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী ও রূপপুরে। ৫৫ কিলোমিটারের এ পথ গেল বছর ৬৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ থেকে ৩৪ ফুটে বাড়ানো হয়। যে কারণে যোগাযোগ সহজ হয়েছে চারঘাট, বাঘা, লালপুর, ঈশ্বরদী উপজেলার লাখো মানুষের।
এ পথেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পণ্যবাহী শত শত ট্রাক সহজেই পৌঁছাচ্ছে, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়। ফলে কমেছে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ।
স্থানীয়রা জানান, সড়ক দিয়ে তারা খুব সহজেই খুলনা, বরিশাল যেতে পারছে। রোগীরা পাবনা, রাজশাহীর হাসপাতালে যেতে পারছে। মাল পরিবহণেও কোনো সমস্যা হচ্ছে না আর। যশোর বেনাপলে মাল পাঠাতে পারছে তারা। এতে জ্বালানি ও খরচ কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
রাজশাহীর বাঘার মসজিদ মোড়, রাজারমোড় বা লালপুরের তেপুকুরিয়া ও আড়পাড়াঘাট। প্রতিদিন ভোর থেকেই প্রায় ৪৬৮টি গ্রাম থেকে ঈশ্বরদী ইপিজেড ও রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে ছুটেন বিদ্যুৎ শ্রমিকেরা।
বিদ্যুৎ শ্রমিকেরা জানান, তাদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে ফলে তাদের জীবন-মান উন্নত হচ্ছে।
এ অবস্থায় স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মী পেতে সহজ হয়েছে ইপিজেড প্রতিষ্ঠানগুলোর। আর দক্ষ ও যোগ্য কর্মী পাওয়ায় প্রত্যাশা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছে তারা।
ঈশ্বরদী ইপিজেড ভিনটেজ ডেনিম সলিউশান লি নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘প্রতিটি সেক্টরে কাজ করার জন্য আমরা প্রচুর লোকজন পাচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ জনবলও পাচ্ছি আমরা।’
ভৌগোলিকভাবে চার জেলার মাঝামাঝি অবস্থিত ঈশ্বরদী ইপিজেড। সড়ক সুবিধায়, মোট শ্রমিকের ১৬ শতাংশ রাজশাহীর, ৩৫.৫ শতাংশ নাটোরের বলে জানান ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক।
পাবনা, ঈশ্বরদী ইপিজেড নির্বাহী পরিচালক এ বি এম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে বিশ হাজার শ্রমিক কাজ করছে তারা সরাসরি উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ ইপিজেড এর অবদান ব্যাপক।’
ঈশ্বরদী ইপিজেডে চলমান ২০টি ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি উৎপাদনের জন্য নির্মাণ প্রস্তুতির কাজ শেষ করেছে আরও ১৪টি প্রতিষ্ঠান। তাতে আগামী বছরের মধ্যে আরও ১০ হাজার শ্রমিকের কাজের সুযোগ হবে এ ইপিজেডে।