পেপাল বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে অনলাইনে টাকা পাঠানো-গ্রহণ, বিল পরিশোধ এবং আন্তর্জাতিক কেনাকাটার জন্য ব্যবহৃত একটি বিশ্বস্ত ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা (Digital Payment Service)।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহ্সান এইচ মনসুর জানান, পেপ্যালের মতো প্ল্যাটফর্ম চালু হলে দেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সারদের (SMEs and Freelancers) দীর্ঘদিনের আন্তর্জাতিক লেনদেনের জটিলতা দূর হবে।
পেপ্যাল কী? (What is PayPal?)
পেপ্যাল হলো একটি আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানি যা প্রযুক্তির মাধ্যমে আর্থিক সেবা প্রদান করে। এটি একটি অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা, যার মূল কাজ হলো ব্যবহারকারীদের অনলাইনে টাকা পাঠানো/খরচ করা ও গ্রহণ করার (Send/Receive Money) সুবিধা দেওয়া। বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে পেপ্যাল ব্যবহৃত হয়। পেপ্যালের ৩৬০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। এটি ১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু করে এবং চিরাচরিত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার, চেক বা ওয়্যার ট্রান্সফার সার্ভিসের ভোগান্তি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আরও পড়ুন:
পেপ্যাল যেভাবে কাজ করে
পেপ্যাল মূলত ব্যাংক ও মার্চেন্টের (Merchant) মধ্যে একটি মধ্যস্থতাকারী প্ল্যাটফর্ম (Intermediary Platform) হিসেবে কাজ করে।
- অ্যাকাউন্ট খোলা: যে কেউ বিনামূল্যে পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড পেপ্যালের সাথে যুক্ত করতে পারেন।
- লেনদেন: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করলে পেপ্যাল ব্যবহার করে ব্যাংকের অর্থ দিয়েই পেপ্যাল-সাপোর্টেড স্টোর থেকে কেনাকাটা করা যায়।
- নিরাপত্তা: এটি পেমেন্ট তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
- ব্যবহার: বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের কাছে টাকা পাঠানো এবং অন্যদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
- চার্জ: বন্ধু ও পরিবারকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো চার্জ লাগে না। তবে কোনো সার্ভিস বা কেনাকাটায় পেপ্যাল ব্যবহার করলে একটি ছোট অঙ্কের ফি দিতে হয়।
- অ্যাকাউন্টের প্রকার: ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সাধারণ অ্যাকাউন্ট এবং ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য পেপ্যাল বিজনেস অ্যাকাউন্ট (PayPal Business Account) খুলতে হয়।
পেপ্যালের বিশেষ ফিচারসমূহ
১. পেপ্যাল ক্রেডিট (PayPal Credit)
এটি পেপ্যাল-চালিত একটি ওপেন-এন্ড ক্রেডিট সার্ভিস অ্যাকাউন্ট, যা ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ডের (Virtual Credit Card) মতো কাজ করে। পেপ্যাল ক্রেডিট কোনো বাস্তব ক্রেডিট কার্ড নয়, তবে এটি শুধু সেসব স্থানে ব্যবহার করা যায় যেখানে পেমেন্ট মেথড হিসেবে পেপ্যাল ক্রেডিট সাপোর্ট করে। ক্রেডিট কার্ডের মতোই এতে বিভিন্ন ফি প্রযোজ্য হতে পারে।
২. পেপ্যাল ক্যাশ (PayPal Cash)
২০১৯ সালে পেপ্যাল এই ফিচারটি চালু করে। পেপ্যালে থাকা সব অর্থকে একত্রে পেপ্যাল ক্যাশ (PayPal Cash) বলা হয়। যখন কেউ পেপ্যালে টাকা পাঠায়, গ্রহণকারী সেই অর্থ পেপ্যাল ক্যাশ অ্যাকাউন্টে রাখতে পারেন অথবা ব্যাংকে ট্রান্সফার (Bank Transfer) করতে পারেন। পেপ্যাল ক্যাশ অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ পরিবার বা বন্ধুদের পাঠানো যায় কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মধ্যস্থতা ছাড়াই। গুগল পে (Google Pay) ও স্যামসাং পের (Samsung Pay) মতো পেমেন্ট সার্ভিস থেকেও পেপ্যাল ক্যাশ ব্যালেন্স ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন:
পেপ্যালের অসুবিধা
চার্জ: ব্যক্তিগত লেনদেনের ক্ষেত্রে চার্জ না থাকলেও ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে ফি প্রযোজ্য।
ইনস্ট্যান্ট ট্রান্সফার: ইনস্ট্যান্ট ব্যাংক ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে পেপ্যাল সাধারণত ১ শতাংশ চার্জ নেয়। বিনামূল্যে ব্যাংক ট্রান্সফার করা গেলেও তাতে ২–৩ দিন সময় লাগে।
বাংলাদেশে পেপাল চালু হলে ফ্রিল্যান্সার ও ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য ৫টি সুবিধা:
পেপ্যাল সুবিধা (PayPal Benefits) চালু হলে দেশের ফ্রিল্যান্সার, উদ্যোক্তা এবং ই-কমার্স খাতে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে, তা নিম্নরূপ:
১. দ্রুত ও সহজ পেমেন্ট (Fast Payment): আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের কাছ থেকে পারিশ্রমিক দ্রুত ও সহজে গ্রহণ করা যাবে, যা প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় গ্রাহকদের কাছে অধিক বিশ্বস্ত।
২. ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধা (Freelancer Benefit): ফ্রিল্যান্সারদের জন্য পেপ্যাল (PayPal for Freelancers) আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস ও সরাসরি ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে পেমেন্ট নিতে সাহায্য করবে, যার ফলে তাদের কাজের সুযোগ ও আয় বাড়বে।
৩. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন (Foreign Currency Earning): দেশে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসবে (More Foreign Currency), যা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।
৪. ই-কমার্স ও স্টার্টআপ (E-commerce and Startup): দেশীয় স্টার্টআপ ও ই-কমার্স খাতের আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ (Easy International Transaction) হবে।
৫. নিরাপত্তা (Security): গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তা, পারচেজ প্রটেকশন (Purchase Protection) এবং ট্রানজেকশনের সুরক্ষা পেপালের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে।
পেপ্যাল চালুর ঘোষণার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নগদ লেনদেন কমানোর উদ্যোগ (Cash Transaction Reduction) নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জানান, দেশে দুর্নীতির মূলে রয়েছে নগদ টাকার লেনদেন। এছাড়া, টাকা ছাপানো ও ব্যবস্থাপনায় বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ (20 Thousand Crore Taka Cost) হয়। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধাপে ধাপে নগদ লেনদেন কমানোর পরিকল্পনা করছে।
গভর্নর আরও বলেন, কৃষি খাতে ঋণের পরিমাণ বর্তমানে মাত্র ২ শতাংশ, যা বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশে উন্নীত করা প্রয়োজন (Increase Agricultural Credit to 10%)। তিনি স্বাধীনতার পর থেকে খাদ্যশস্য উৎপাদনে দেশের বিশাল অর্জনকেও তুলে ধরেন।
পেপ্যাল চালু হলে দুটি প্রধান সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে:
- এলসি (LC) জটিলতা কমবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের (Benefits for SMEs)
- ফ্রিল্যান্সারদের টাকা না পাওয়ার বিড়ম্বনা দূর (Freelancer Payment Solution)
বাংলাদেশে পেপ্যালের বর্তমান অবস্থা
অ্যাকাউন্ট খোলা: এই মুহূর্তে অফিসিয়াল কোনো উপায়ে বাংলাদেশ থেকে পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট খোলা যায় না। তবে দ্রুতই দেশে পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পেপ্যাল (PayPal) বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করবে—এমন আলোচনা ও প্রতিশ্রুতি বিভিন্ন সময়ে এলেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘসূত্রিতা এবং বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর বিষয়টি ফ্রিল্যান্সারদের কাছে হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, ২০১৭ সালে একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা (2017 PayPal in Bangladesh Postponed) করা হলেও পরবর্তীতে তা স্থগিত হয়ে যায়। এই ঐতিহাসিক পেপ্যাল চালুতে বিলম্ব (PayPal Launch Delay) এর কারণে দেশের ফ্রিল্যান্সিং খাত এখনও আন্তর্জাতিক লেনদেনে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
বর্তমানে পেপ্যালের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘জুম’ (Xoom) সীমিত আকারে সেবা দিলেও, তা ফ্রিল্যান্সারদের মূল চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয় (Not Enough for Main Demand)। কিন্তু আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস ও সরাসরি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পেমেন্ট গ্রহণের জন্য পেপ্যাল এর সম্পূর্ণ পরিষেবা (PayPal Full Service) অপরিহার্য। এই কারণেই, সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে পেপ্যাল চালুর ঘোষণা আসার পরও, ফ্রিল্যান্সিং খাত এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পেপ্যাল এর প্রতিশ্রুতি (PayPal Promises) পূরণের দিকে তাকিয়ে আছে।
কৃষিখাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮ জন ব্যক্তি ও ৩টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ‘অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ (Agro Award 2025) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এই তথ্য জানান।
ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম পেপ্যাল নিয়ে বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর-FAQ
প্রশ্ন: পেপ্যাল (PayPal) কী এবং এটি কিভাবে কাজ করে?
উত্তর: পেপ্যাল হলো একটি আমেরিকান বহুজাতিক ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম। এটি ব্যবহারকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মার্চেন্ট ও ব্যবহারকারীর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে এবং অনলাইনে টাকা পাঠানো/গ্রহণ, বিল পরিশোধ ও কেনাকাটার সুবিধা দেয়।
প্রশ্ন: পেপ্যাল ব্যবহারের মূল সুবিধা ও অসুবিধা কী কী?
উত্তর: সুবিধা: দ্রুত আন্তর্জাতিক পেমেন্ট, উচ্চ নিরাপত্তা (ক্রেতা-বিক্রেতা সুরক্ষা), এবং ফ্রিল্যান্সারদের সহজে ও নিরাপদে পারিশ্রমিক গ্রহণ। অসুবিধা: ব্যবসায়িক লেনদেনে বা ইনস্ট্যান্ট ব্যাংক ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ফি বা চার্জ প্রযোজ্য।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে কি পেপ্যাল (PayPal) এখন চালু হয়েছে?
উত্তর: না, আনুষ্ঠানিকভাবে এবং সম্পূর্ণ পরিষেবা এখনও বাংলাদেশে চালু হয়নি। তবে পেপ্যালের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘জুম’ (Xoom) সীমিত আকারে সেবা প্রদান করে।
প্রশ্ন: পেপ্যাল কি বাংলাদেশে শিগগিরই আসবে?
উত্তর: হ্যাঁ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহ্সান এইচ মনসুরের ঘোষণা অনুযায়ী, পেপ্যাল বাংলাদেশে ব্যবসা করতে আগ্রহী এবং শিগগিরই এর সম্পূর্ণ পরিষেবা চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য পেপ্যাল কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: ফ্রিল্যান্সাররা পেপ্যালের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে দ্রুত, সহজে ও নিরাপদে পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারেন এবং পেমেন্ট না পাওয়ার বিড়ম্বনা দূর করতে পারেন, যা অন্য গেটওয়েতে কঠিন।
প্রশ্ন: পেপ্যাল কি বিকাশে (bKash) বা অন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সরাসরি টাকা পাঠানো যায়?
উত্তর: সরাসরি পেপ্যাল থেকে বিকাশে টাকা পাঠানো যায় না। এই লেনদেনের জন্য কিছু মধ্যস্থতাকারী বা থার্ড-পার্টি গেটওয়ের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়া কি পেপ্যাল ব্যবহার করা যায় বা টাকা পাঠানো যায়?
উত্তর: না। পেপ্যাল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করতে হলে অবশ্যই ব্যবহারকারীকে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড পেপ্যালের সাথে যুক্ত করতে হয়।
প্রশ্ন: পেপ্যাল অ্যাকাউন্টে টাকা যোগ করার প্রধান উপায় কী?
উত্তর: পেপ্যাল ক্যাশ (PayPal Cash) অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা যোগ করার প্রধান উপায় হলো, অন্য ব্যবহারকারী, ক্লায়েন্ট বা আন্তর্জাতিক মার্চেন্টদের কাছ থেকে পেমেন্ট (পারিশ্রমিক/বিক্রিত পণ্যের দাম) গ্রহণ করা।
প্রশ্ন: পেপ্যাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত লেনদেন ও ব্যবসায়িক লেনদেনের মধ্যে চার্জের পার্থক্য কী?
উত্তর: বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ব্যক্তিগত লেনদেনের ক্ষেত্রে পেপ্যাল সাধারণত কোনো চার্জ নেয় না। তবে ব্যবসায়িক লেনদেন বা কেনাকাটার ক্ষেত্রে একটি ছোট অঙ্কের ফি বা চার্জ প্রযোজ্য হয়।
প্রশ্ন: পেপ্যাল ক্রেডিট (PayPal Credit) কী?
উত্তর: পেপ্যাল ক্রেডিট হলো পেপ্যাল-চালিত একটি ওপেন-এন্ড ক্রেডিট সার্ভিস অ্যাকাউন্ট। এটি কোনো বাস্তব ক্রেডিট কার্ড নয়, তবে পেপ্যাল-সাপোর্টেড পেমেন্ট পয়েন্টে ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ডের মতো ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক টাকা পাঠানোর বা ফ্রিল্যান্সিং আয়ের জন্য সেরা অ্যাপ কোনটি?
উত্তর: আন্তর্জাতিক টাকা পাঠানোর (রেমিট্যান্স) জন্য জুম (Xoom) জনপ্রিয়। তবে ফ্রিল্যান্সিং আয়ের জন্য পেপ্যালের মতো আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়েই সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও কার্যকর সমাধান।
প্রশ্ন: পেপ্যাল চালু হলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কী সুবিধা হবে?
উত্তর: পেপ্যাল চালু হলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এলসি (Letter of Credit) খোলার জটিলতা ছাড়াই ছোট চালানে পণ্য সহজে ইউরোপ, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশে রপ্তানি করতে পারবেন এবং দ্রুত পণ্যের দাম দেশে আনতে পারবেন।
প্রশ্ন: বর্তমানে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য অন্য জনপ্রিয় পদ্ধতিগুলো কী কী?
উত্তর: বর্তমানে ওয়্যার ট্রান্সফার (Wire Transfer), পেওনিয়ার (Payoneer), এবং বিভিন্ন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেন করা হয়।
প্রশ্ন: পেপ্যাল টাকা আনার ক্ষেত্রে কি ইনস্ট্যান্ট ট্রান্সফারের সুবিধা দেয়?
উত্তর: হ্যাঁ, পেপ্যাল ইনস্ট্যান্ট ব্যাংক ট্রান্সফারের সুবিধা দেয়, তবে সেক্ষেত্রে ১ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে। বিনামূল্যে ব্যাংক ট্রান্সফার করতে ২-৩ দিন সময় লাগে।
প্রশ্ন: জুম (Xoom) এবং পেপ্যালের সম্পূর্ণ পরিষেবার মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী?
উত্তর: জুম মূলত রেমিট্যান্স বা ব্যক্তিগত টাকা পাঠানোর সীমিত সেবা দেয়। অন্যদিকে পেপ্যাল সম্পূর্ণ পরিষেবা হিসেবে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে সংযোগ, ক্রেতা-বিক্রেতার সুরক্ষা এবং অনলাইনে পেমেন্ট গ্রহণ ও খরচ করার বিস্তৃত সুবিধা প্রদান করে।





