খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট তীব্র; শিক্ষার্থীদের দখলে সরকারি খামার

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা | ছবি: এখন টিভি
0

আবাসন সংকট নিরসনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দখল করে নিয়েছেন সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন কেন্দ্র। তালা ঝুলিয়ে দেন কেন্দ্রের মূল প্রবেশপথে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, সরকারি খামার দখল করে আবাসিক হল ঘোষণা করা নিয়মবহির্ভূত হলেও একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী এমন উদ্যোগ নিলে প্রশাসনের কিছু করার থাকে না। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় বাধ্য হয়েই তারা কেন্দ্রটি দখল করেছেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ১০৫ একর। যেখানে ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য হল রয়েছে মাত্র ৫টি। সেখানে আবাসন সুবিধা পান মাত্র ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী। এ সংকট নিরসনসহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। একাধিকবার জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার ভেতরে দশ দশমিক তিন পাঁচ একরের মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার অবস্থিত। যা আবাসন সংকট নিরসন, গবেষণাগার সম্প্রসারণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সবথেকে বড় বাঁধা। শিক্ষার্থীদের দাবি, তিন দিকে ঘেরা এ জমির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্ন হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন কম। এখানে হলের সংকট গবেষণার সংকট রয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। প্রশাসন এ বিষয়ে তেমন কিছুই করছে না। শিক্ষা ও মৎস্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বৈঠক করলেও আশানুরূপ ফল আসেনি।

সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক বলছেন, জায়গা দখল করে হল ঘোষণা করা কোনো নিয়মতান্ত্রিক উপায় নয়। তবে একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী কোনো পন্থা বেছে নিলে প্রশাসনের কিছু করার থাকে না।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. নাজমুস সাদাত বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। মাত্র ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থী হলে থাকতে পারে। নভেম্বর থেকে প্রশাসন এ বিষয়ে কাজ করছে।’

মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের জায়গা দখল করে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে খামার কর্তৃপক্ষ বলছে, দখলের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। লিখিত আকারে মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

এফএস