ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাফসানা আক্তার ঝুমা জানান, আজ বেলা ১টায় শহরের চৌড়হাস মোড় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ রুটের জনি পরিবহন নামে একটি বাস উঠেন তিনি। এরপর হেলপারকে স্টুডেন্ট ভাড়ার বিষয়ে বলা হলে সে দুর্ব্যবহার করে এবং এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নয়।
পরে অন্য শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানতে পারলে ক্যাম্পাসে এসে প্রতিবাদ জানায় ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বাস মালিকদের লিখিত মুচলেকার দাবি করে আন্দোলনে নামেন। এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ বিক্ষোভ চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামান জানান, বাস মালিকদের ডাকা হয়েছে, যৌক্তিক বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন, ‘কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী হেলপারকে থাপ্পড় মারলে হট্টগোল হয়। বিষয়টি নিয়ে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।’
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়(ইবি) থানার (ওসি) মো, মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাস মালিক সমিতির লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীকাল বিষয়টি নিয়ে তারা মিটিংয়ে বসবেন। এ ঘটনায় চারটি বাস আটকে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’