লিখিত বক্তব্যে ৬০ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাসেল কবির জানান, এ সমাবর্তন ২০২৩ সালের নভেম্বরে হওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ করে জাতীয় নির্বাচনের আগে সমাবর্তন আয়োজনের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অযৌক্তিক। আগামী ১৭ ডিসেম্বর সমাবর্তনের নির্ধারিত তারিখ শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অসুবিধাজনক’ বলেও তারা মন্তব্য করেন।
তিন দফা দাবিগুলো হলো অতিথি পুনর্বিবেচনা, তারিখ পুনর্বিবেচনা এবং রেজিস্ট্রেশনের সময় পুনরায় উন্মুক্তকরণ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমান অতিথি তালিকার কাউকে অসম্মান করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ঐতিহ্যের জায়গা থেকে আমরা চিন্তা করছি এবং অতিথিরা যদি তারা চান প্রয়োজন হলে নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানকে অতিথি করার বিষয়েও অভিমত ব্যক্ত করছি।
আরও পড়ুন:
ডিসেম্বর মাসে সরকারি-বেসরকারি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষার্থীদের প্রচণ্ড কাজের চাপ থাকে। মাসের মাঝামাঝি সপ্তাহের দিনে আয়োজন করায় অনেক শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবেন না। তাই তারিখ পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সমাবর্তনের জন্য শিক্ষার্থীদের জমা দেয়া ফি কোন ব্যাংকে রাখা হয়েছিল, সেই অর্থ থেকে কত লভ্যাংশ পাওয়া গেছে এবং সমগ্র সমাবর্তনের বাজেট প্রকাশ করতে হবে।
এছাড়াও, তিন ব্যাচের যুক্তিসঙ্গত দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপেক্ষা করেছে। উপ-উপাচার্য ফরিদ খান ২ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে দাবি পূরণে অপারগতা স্বীকার করে, এতে শিক্ষার্থীদের হতাশা আরও বেড়েছে।
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সমাবর্তন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে তারা বলেন, প্রয়োজন হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।





