ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত একুশটি জেলার যানবাহন পারাপার কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। শরীয়তপুর ও চাঁদপুর উভয় প্রান্তে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আটকে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী, চালক ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
শরীয়তপুর–চাঁদপুর নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট চারটি ফেরি নিয়মিত যানবাহন পারাপার করে থাকে। তবে এ রুটের ফেরিগুলোতে ফগ লাইটের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার সময় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে বারবার যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
খুলনা থেকে বিএসআরএমের কুচি নিয়ে চট্টগ্রামগামী ট্রাকচালক আখতার হোসেন জানান, কুয়াশার কারণে তিনি রাত থেকেই নরসিংহপুর ফেরিঘাটে অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগে এ নৌপথের দূরত্ব তুলনামূলক কম হওয়ায় নিয়মিত এ রুট ব্যবহার করি। কিন্তু শরীয়তপুর–চাঁদপুর সড়কের বেহাল অবস্থা এবং শীত মৌসুমে ফেরিঘাটে দীর্ঘ অপেক্ষা পরিবহন কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর শীত এলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ এ রুটের ফেরিগুলোতে ফগ লাইট সংযোজন করা না হলে প্রায়ই শিপমেন্টে সমস্যা দেখা দেয়।’
এ বিষয়ে নরসিংহপুর ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন জানান, কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় শরীয়তপুর–চাঁদপুর নৌরুটে রাত ৩টা ৩০ মিনিট থেকে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে নদীতে কোনো ফেরি নোঙর করা নেই। কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে ফেরি চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক করা হবে বলেও জানান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে এ নৌপথে চলাচলকারী চালক ও ব্যবসায়ীরা ফেরিগুলোতে আধুনিক নেভিগেশন সুবিধা ও ফগ লাইট সংযোজনের দাবি জানিয়ে আসছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুত এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে প্রতিবছর শীত মৌসুমে এ রুটে একই ধরনের দুর্ভোগ অব্যাহত থাকবে।





