টাইফয়েড প্রতিরোধে প্রথমবার টিকা দেবে সরকার, টার্গেট ৫ কোটি শিশু

টাইফয়েড টিকা
টাইফয়েড টিকা | ছবি: সংগৃহীত
1

সরকার দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকা দেবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)–এর আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে এক ডোজের ইনজেকটেবল এই টিকা দেয়া হবে, যা ৩–৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে।

টিকা পেতে জন্ম নিবন্ধন সনদের ১৭ সংখ্যার নম্বর দিয়ে https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv–এ নিবন্ধন করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন ছাড়া বাবা–মায়ের মোবাইল নম্বরে নিবন্ধন সম্ভব। স্কুলে প্রথম ১০ কর্মদিবস ক্যাম্পে টিকা দেয়া হবে, পরে ইপিআই সেন্টারে স্কুলবহির্ভূত শিশুদের দেয়া হবে।

টিকা গ্যাভির সহায়তায় এসেছে এবং এটি শতভাগ নিরাপদ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ডব্লিউএইচও জানায়, টাইফয়েড মূলত দূষিত খাদ্য ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়; প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ আক্রান্ত ও ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ মারা যায়। রোগ নিয়ন্ত্রণে টিকাদানের পাশাপাশি নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

গ্যাভি সিএসও স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ার ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, টাইফয়েড ভ্যাকসিন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। এটি শতভাগ নিরাপদ। পৃথিবীর অনেক দেশে এই ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেও আগে এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। কোভিডের আগে টাঙ্গাইলে পাইলট প্রকল্পে এই ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছিল। এরপর সরকার গ্যাভিকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানায়। আগে দেশে এই ভ্যাকসিন বেসরকারি পর্যায়ে কিনে দেয়া হতো, এবার সরকার বিনামূল্যে প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি শিশুকে দেবে।

ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারাও টিকা নিতে পারবে। এক্ষেত্রে বাবা–মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে এবং তাদের ভ্যাকসিন গ্রহণের তথ্য কাগজে লিখে দেয়া হবে।

এনএইচ