বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় চালিকা শক্তি বিদেশে বসবাসরত এক কোটির বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি। ভোটাধিকারের ক্ষেত্রেও তাদের রয়েছে নানা মত।
ভোটাধিকার নিশ্চিতে নিরাপদ, স্বচ্ছ ও সহজ প্রক্রিয়ার আহ্বান প্রবাসীদের। যদিও সুনির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি নির্বাচন কমিশন থেকে এখনো জানানো হয়নি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন মহলে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের একজন নওশের আলী বলেন, ‘দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকি না কেন, একজন নাগরিক হিসেবে এটা আমাদের একটা মৌলিক অধিকার।’
আরেকজন প্রবাসী বাংলাদেশি মোহাম্মদ সরফরাজ খান বলেন, ‘আমাদের দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তো পোস্টাল ব্যালট গ্রহণযোগ্য। সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হওয়ার কথাই নয়। সমস্যা হলো, ভোটের প্রোসেসটা এখনো ঠিক করা হয়নি।’
দূতাবাস বা অনলাইন পোর্টাল, ডাকযোগে ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রক্রিয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদ্যমান রয়েছে। বিদেশে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রেও এ ধরনের প্রক্রিয়া চালুর দাবি প্রবাসীদের।
প্রবাসী বাংলাদেশি জুলফিকার হায়দার খান বলেন, ‘ইলেক্ট্রনিক ভোটিংয়ের ব্যবস্থা, ডাকযোগের মাধ্যমে, কুটনৈতিক মিশনের মাধ্যমে অথবা অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে— এ চারটির যেকোনো একটি পদ্ধতিতে প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’
আরেকজন প্রবাসী নেসার রেজা খান বলেন, ‘১০ হাজার মানুষ নিয়ে টেস্ট করা যেতে পারে যে, এখানে কত শতাংশ এফিসিয়েন্ট হয়, কত শতাংশ অ্যাক্যুরেট অনলাইন ভোটিংটা হয়।’
প্রবাসীরা বলছেন, ভোট দেয়া তাদের শুধু অধিকার নয়, দায়িত্বও। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে তাই সরকার ও দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।