নিউইয়র্কে দেশিয় খাবারের পসরা, বাঙালিয়ানার ছোঁয়া পেতে ভিড়

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বসা দেশি খাবারের দোকান
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বসা দেশি খাবারের দোকান | ছবি: এখন টিভি
0

সন্ধ্যা হলেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বসে দেশি খাবারের পসরা। ফুচকা, চটপটি, হালিম আর ঝালমুড়ির স্বাদ পেতে এসব খাবারের স্টলে ভিড় করেন বাঙালিরা। এমনকি প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম থেকে শুরু করে পশ্চিমা খাদ্যরসিকরাও চেখে দেখেন বাংলাদেশের খাবার। এতে অভিবাসী বাংলাদেশিদের আয় বাড়ার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের তৈরি হচ্ছে অনেকের।

নিউইয়র্কে বসেও যদি হঠাৎ মনে হয়, আপনি পুরান ঢাকার কোনো গলিতে হাঁটছেন, তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনি পৌঁছে গেছেন জ্যাকসন হাইটসে।

ফুচকা, চটপটি, হালিম আর ঝালমুড়ির ঘ্রাণে সেখানে বেঁচে আছে বাংলাদেশের শেকড়। দেশ ছেড়ে হাজার মাইল দূরে থেকেও প্রবাসীরা খুঁজে পান পরিচিত স্বাদ।

সন্ধ্যা নামতেই আলোয় আলোয় ঝলমল করে ওঠে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস। দোকানের সারি, মানুষের ভিড়, আর তার মাঝে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এক টুকরো রাস্তায় স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলো ননস্টালজিক করে তোলে।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, ফুচকা-ঝালমুড়িসহ অন্যান্য খাবারে বাংলাদেশি স্বাদ খুঁজে পাচ্ছেন তারা।

ফুচকা, চটপটি, হালিম, ঝালমুড়ি— নাম শুনলেই মনে পড়ে যায় বিকেলের আড্ডা, স্কুল ফাঁকি দিয়ে টং দোকানে বসা কিংবা ঈদের মেলায় লাইন ধরে দাঁড়ানো সেই পুরনো দিনগুলো। এখানেও সেই স্বাদ, সেই আবেগ ঠিক একই রকম।

প্রবাসে জন্ম নেওয়া নতুন প্রজন্মও এই খাবারের সঙ্গে জুড়ে নিচ্ছে নিজেদের শেকড়। আর শুধু বাংলাদেশিরাই নয়, পশ্চিমা খাদ্যরসিকদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ স্ট্রিট ফুডগুলো।

স্ট্রিট ফুডের এ ব্যবসার মাধ্যমে অনেক অভিবাসী বাংলাদেশি তাদের আয়ের পথ তৈরি করেছেন। একই সঙ্গে নতুন অভিবাসীদের জন্য এখানে রয়েছে কাজের সুযোগ। কারণ ইংরেজি না জানলেও এসব দোকানে কাজ করতে খুব একটা অসুবিধায় পড়ত হয় না তাদের।

ব্যবসায়ীদের মধ্য একজন বলেন, ‘এখানে আমরা ফুচকা, ঝালমুড়ি, চটপটি, আমভর্তা বিক্রি করি। পাশেই আরেক দোকানে একটু হেভি খাবার যেমন— লুচি, চাপ ইত্যাদি বিক্রি হয়।’

ভাষা বদলেছে, ঠিকানাও বদলেছে, কিন্তু বদলায়নি স্বাদ, বদলায়নি অনুভূতি। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে এ বাংলাদেশি স্ট্রিট ফুড শুধু পেট নয়, ছুঁয়ে যায় মনও।

এসএইচ