উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে বসবাস করা বিদেশি নাগরিকদের ৩০০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে কোন রকম শাস্তির মুখোমুখি হওয়া ছাড়াই নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে দেশটি। এরমধ্যেও চলছে ধরপাকড়, প্রতিদিন কোথাও না কোথাও অভিযান চালিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা হচ্ছে। আটককৃতদের তালিকায় আছেন বাংলাদেশিরাও। এছাড়া ভুয়া ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া প্রবেশের চেষ্টাকালে শত শত বাংলাদেশিকে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
এদিকে সব কিছু ঠিক থাকলে আগস্টে মালয়েশিয়া সফর করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার এ সফরে শ্রমবাজার খোলা, বৈধতা দেয়া এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সফরের আগে হাইকমিশনের প্রতিনিধি দলের ইমিগ্রেশনের সদর দপ্তরে দেশটির ইমিগ্রেশন মহাপরিচালকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ আলাদা গুরুত্ব বহন করে।
দেশটিতে দক্ষ, স্বচ্ছ এবং কার্যকর অভিবাসন ব্যবস্থাপনার লক্ষে সকল পক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা জোরদার করতে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন।
হাইকমিশনারের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধি দলের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হাইকমিশনার মোসাম্মৎ শাহানারা মনিকা, শ্রম কাউন্সিলর সৈয়দ শরিফুল ইসলাম এবং কাউন্সিলর মো. মুরশেদ আলম।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী সেবা বিভাগের পরিচালক আব্দুল হাদী বিন মোহাম্মদ, নীতি ও কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক জনাব মাজওয়ান বিন আব মানান, বিদেশি কর্মী বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রাজিব বিন ইয়াসিন, ভিসা, পাস ও পারমিট বিভাগের উপ-পরিচালক মিসেস এফা নুরজাইনানি বিন্তি জাফর এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইউনিট, নীতি ও কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান মিসেস এলনিনা কারমেলা বাহানাং আনাক উঙ্গান।