শান্ত ব্রিটেন উত্তাল অভিবাসন বিরোধী আন্দোলনে। সাম্প্রতিক সময়ে টমি রবিনসনের নেতৃত্বে ইডিএলের ইউনাইট দ্যা কিংডম র্যালির উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে। বাড়ছে বর্ণবাদ, ইসলাম বিদ্বেষ আর ইমিগ্রেন্ট বিরোধী মনোভাব।
লন্ডনের হিথরো এলাকায় বাংলাদেশি তরুণ ইখতিয়ার মৃধা তাঁর মায়ের হিজাব নিয়ে এক শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী মন্তব্যের প্রতিবাদ করলে হামলার শিকার হন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আশফোর্ডের চার্চ রোডে এ ঘটনা ঘটে। সেদিন হিথরো বিমানবন্দর থেকে মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে পূর্ব লন্ডনের বাসায় ফিরছিলেন তিনি।
এ ঘটনায় জড়িত শ্বেতাঙ্গ বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইসলাম বিদ্বেষের শিকার নাহিদা আক্তার জানান, এ ঘটনায় তিনি ও তার পরিবার আতংকিত।
ভুক্তভুগীর মা নাহিদা আক্তার বলেন, ‘আমি এখন নিজেও অনেক আতঙ্কে আছি, যেহেতু আমার ছেলেদের এখনও বাইরে যেতে হবে। ওরা পার্ট টাইম জব করে। তিন দিন হয়ে গেলেও আমি এখনো স্বাভাবিক হতে পারছি না।’
আরও পড়ুন:
ইসলামোফোবিয়া পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা টেল মামার তথ্য অনুযায়ী, অতি ডানপন্থিদের উত্থানের ফলে গেল দুই বছরের তুলনায় মুসলিম বিদ্বেষ বেড়েছে ৭২ শতাংশ। ব্রিটেনের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭ শতাংশ মুসলমানদের বসবাস। ইসলামোফোবিয়া বা বর্ণবাদী আচরণ বৃদ্ধিতে অনেকেই ভীত।
জাতিগত বিদ্বেষ, বর্ণবাদ ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতা আর ডানপন্থি শক্তিগুলোর নিয়মিত রসদ জোগানে ব্রিটেনজুড়ে আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে ইসলামবিদ্বেষ। হুমকির মুখে ব্রিটেনের প্রায় চার মিলিয়ন মুসলিম।
ব্রিটেনে ধর্মীয় বিবেচনায় ২য় অবস্থানে থাকা মুসলমানরা চাকরির ক্ষেত্রে, কাজের জায়গা, রাস্তা ঘাট, শপিংমল কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে কোন বয়সে যে কেউ এর শিকার হতে পারেন, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটসের ধর্মসমন্বয় ফোরামের চেয়ারম্যান সুফিয়া আলম বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেসিজম আছে। আমাদের বাচ্চারা ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে সেখানেও রেসিজমের শিকার হয়।’
যদিও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই দেশ সবার, উগ্র ডানপন্থি বিক্ষোভকারীদের কাছে যুক্তরাজ্য আত্মসমর্পণ করবে না বলে সাফ জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।




