বাণিজ্য ও শুল্কনীতিতে দেশে-বিদেশে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই এবার নিজ দেশের সিনেমায় নজর দিলেন ট্রাম্প। বিদেশে নির্মিত মার্কিনসহ, অন্যান্য যেকোনো দেশের চলচ্চিত্রের ওপর শতভাগ শুল্কারোপের নির্দেশ দিলেন তিনি। রোববার (৪ মে) ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিজেই। তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও স্টুডিওগুলোর বিদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রবণতায় হলিউড আজ ধ্বংসের পথে।'
এদিকে ফ্লোরিডার পাম বিচে ছুটি কাটিয়ে রোববার ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসে ফেরার পথে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন ট্রাম্প। প্রথমেই চীনসহ বিভিন্ন দেশের সাথে শুল্ক বৈরিতা নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
ট্রাম্প দাবি করেন, বাইডেনের আমলে চীনসহ বিভিন্ন দেশের চড়া শুল্কে প্রতিদিন ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এখন শুধু চীনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে বাণিজ্য লেনদেন বন্ধ হওয়ায় কোটি কোটি ডলার সাশ্রয় হচ্ছে। স্থায়ী সমাধানে চলতি সপ্তাহে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনা নেই বলে নিশ্চিত করেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা চীনের সাথে এখন,মোটেও লেনদেন করছি না। কারণ শুল্ক বেশি থাকায় লেনদেন করা যাচ্ছে না। এতে আমরা কোটি কোটি ডলার সাশ্রয় করছি।’
শুল্ক ইস্যুতে সব দেশকে একই সঙ্গে বন্ধু ও শত্রু বলেও আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বছরের পর বছর ঠকিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এখন ওয়াশিংটন পারস্পরিক শুল্ক আরোপে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় চীনসহ প্রায় সব দেশের সঙ্গে আলোচনা চলমান বলেও জানান মার্কিন রাষ্ট্র প্রধান।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘প্রত্যেক দেশ, প্রায় নিশ্চিতভাবেই আমাদের বন্ধু এবং শত্রু। বছরের পর বছর ধরে আমাদের ঠকিয়ে আসছে। তাই আমরা চীনসহ প্রায় সবার সাথে আলোচনা করছি। শেষে, আমি শুল্ক নির্ধারণ করে চুক্তিটি স্থির করবো।’
চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্র একটি ন্যায্য বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে এগুচ্ছে বলে সাফ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এসময় কয়েকবার উল্লেখ করেন যে, বহু বছর ধরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে বেইজিং।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনি জানেন, আমি চীনের সাথে একটি ন্যায্য চুক্তি চাই। কিন্তু চীন বহু বছর ধরে আমাদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। তাই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য কিছু করা উচিত। চীন বহু বছর ধরে আমাদের সাথে প্রতারণা করে আসছে।’
গেল এপ্রিলে চীনের উপর ১৪৫ শতাংশ শুল্কারোপের আগে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের মধ্য দিয়ে কানাডা এবং মেক্সিকোর সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। অন্যান্য দেশের ওপর আরোপ করা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছেন ট্রাম্প। এর পর থেকে বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে একের পর এক বৈঠকে লিপ্ত ট্রাম্পের শীর্ষ কর্মকর্তারা।