যাত্রা শুরুর পরপর, ২০১০ সালের মে মাসে বিটকয়েনের দাম ছিল শূন্য দশমিক শূন্য-এক ডলারেরও কম। অর্থাৎ মাত্র এক ডলারে সে সময় মিলতো ১০ হাজারের বেশি বিটকয়েন। ১৫ বছরের ব্যবধানে এক বিটকয়েন কিনতেই গুণতে হচ্ছে লাখ ডলার।
চলতি বছর বেশ কয়েকবার ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামের নজির গড়েছে বিটকয়েন। তবে এবারই প্রথম ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করলো বাজারমূল্যে বিশ্বের শীর্ষ ক্রিপ্টো মুদ্রা।
১ লাখ ১৭ হাজার ৭৩৩ ডলার থেকে সোমবার সাতসকালে এক লাফে ১ লাখ ২১ হাজার ২০৯ ডলার এক সেন্টে পৌঁছায় বিটকয়েনের দাম। এক লাফে বেড়ে যায় প্রায় ৩ শতাংশ, ২৪ ঘণ্টার হিসেবে যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। এরপর অবশ্য দাম কিছুটা কমে স্থায়ী হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজারের ঘরে।
হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধিতে ৩৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে বিটকয়েন বেচাকেনা। সারা বিশ্বে ক্রিপ্টো ওয়ালেট অ্যাড্রেসগুলোতে এক দিনেই লেনদেন হয় ছয় হাজার কোটি ডলারের বেশি। বাজারমূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই দশমিক চার-এক- ট্রিলিয়ন ডলারে। বাজার মূলধনে টেক জায়ান্ট অ্যাপলের পরে আর অনলাইন মার্কেটপ্লেস অ্যামাজনের আগে, পঞ্চম স্থানে এখন বিটকয়েন।
বিটকয়েনের নজিরবিহীন ঊর্ধ্বগতিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাচ্ছে 'ক্রিপ্টো সপ্তাহ'। ডিজিটাল সম্পদকে খাতভিত্তিক কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর মধ্যে নিতে সোমবার থেকে মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে শুরু হবে বেশ কয়েকটি বিল নিয়ে বিতর্ক।
নিজেকে ক্রিপ্টোবান্ধব প্রেসিডেন্ট দাবি করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নীতিনির্ধারকদের অনুরোধ করেছেন, ক্রিপ্টোখাতের জন্য অনুকূল আইন প্রণয়নের।
চলতি বছর এ পর্যন্ত ২৯ শতাংশ বেড়েছে বিটকয়েনের দাম। দেশে দেশে ট্রাম্পের আমদানি শুল্ক আরোপ আর বিশ্ববাণিজ্যে অনিশ্চয়তার মধ্যে, নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে গেলো এক সপ্তাহে দর বেড়েছে প্রায় সব ক্রিপ্টোমুদ্রার।
বিটকয়েনের পর বাজারের দ্বিতীয় শীর্ষ ক্রিপ্টো মুদ্রা ইথার বিক্রি হচ্ছে পাঁচ মাসের সর্বোচ্চ দামে, তিন হাজার ৪৮ ডলারে। কয়েন মার্কেট ক্যাপের তথ্য, বৈশ্বিক ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতের মোট বাজার মূলধনের পরিমাণ বর্তমানে প্রায় চার ট্রিলিয়ন ডলার।