এসময় আগামী নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ নিয়ে একাধিকবার বলেছি, এ ব্যাপারে আপনাদের কাছে যা তথ্য আছে, আমার কাছে এর চেয়ে বেশি কোনো তথ্য নেই। যেগুলো পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে, যে ধারণা আপনারা পাচ্ছেন, আমিও সে ধারণাই পাচ্ছি। যেদিন আমরা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবো, নির্বাচনের তারিখের অন্তত দু’মাস আগে আপনারা জানতে পারবেন যে, নমিনেশন কবে সাবমিট করতে হবে, উইথড্রলের তারিখ কবে, আপিলের তারিখ কবে, প্রতীক বরাদ্দের তারিখ ইত্যাদি; সবকিছু তখন জানতে পারবেন। এটা নির্বাচনের তারিখের অন্তত দু’মাস আগে জানতে পারবেন।’
গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এরকম একটা গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের যেরকম থাকার কথা, তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো আছি, আমি বলবো। আমি মনে করি, নির্বাচনের তারিখ আসতে আসতে সবকিছু আরও ঠিক হয়ে যাবে। আমি এটাকে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করছি। তবে এ চ্যালেঞ্জ উতরাতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস আছে।’
পিআর পদ্ধতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে একটা নির্বাচন করে দেয়া। পলিটিশিয়ানরা ঠিক করবেন কনস্টিটিউশন কী হবে, আইন কী হবে। কনস্টিটিউশন বা আইন না বদলানো পর্যন্ত আমরা তো আগের নিয়মেই প্রস্তুতি নেব সেটাই স্বাভাবিক এবং এটাই প্রত্যাশিত।’
প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ এবং এটা মোকাবিলা একটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি একটা নতুন ডাইমেনশন যোগ হয়েছে আমাদের, আপনারা যারা ফরমাল নিউজ বা টিভি চ্যানেল আছেন, প্রিন্ট মিডিয়া আছেন, তারা একটা দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকেই কাজ করেন বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে সোশ্যাল মিডিয়া তো ফ্রি স্টাইলে চলছে। এমনভাবে চলছে যে একজন ফেসবুকে একটা অপতথ্য দিল বা ভুল তথ্য দিল, সেটা যাচাই-বাছাই না করেই ১ হাজার মানুষ সেটা শেয়ার করে দেয়। এ একটা বিষয় আমাদের বেশ ভাবাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার মিসইনফরমেশন বা ডিসইনফরমেশন আমাদের কাছে একটা বড় থ্রেট হিসেবে এসেছে। আর এআইয়ের অপব্যবহারটাও এ নির্বাচনে আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। তবে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করছি এটাকে অ্যাড্রেস করার জন্য।’
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার উল্লেখ করে সিইসি জানান, কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফেরাতে কাজ করছে কমিশন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে খুলনা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিইসি।