হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি ইসরাইলের

হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ
হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ | ছবি: সংগৃহীত
0

ভিডিও প্রকাশ করে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বিভাগ দাবি করেছে হামাসের ১৩০ টি গোপন সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে তারা। একে একে সুড়ঙ্গের গতিপথ চিহ্নিত করা হয়। তারপর অবস্থান নেয়। বোমা বিস্ফোরণের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করে বের হয়ে আসে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। তারপর বিকট শব্দে আশপাশের বিশাল এলাকাও উড়ে যায়।

বুধবার হামাসের গোপন সুড়ঙ্গে অভিযান চালানোর একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইসরাইল। সেসময় তারা হামাসের ১৩০ টি টানেল ধ্বংস করেছে বলে দাবি করে।

ইসরাইলের প্রকাশিত ওই ভিডিওটির সত্যতা পেয়েছে বার্তা সংস্থা-রয়টার্স। তবে এটি কবেকার ঘটনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় তারা। আর হামাসের টানেলে ইসরাইলি অভিযানের স্যাটেলাইট ইমেজও প্রকাশ করে তেল আবিব।

হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর ইসরাইলের মূল টার্গেট ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী-হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা। ইসরাইল ভালো করেই জানে হামাসকে ধ্বংস করতে হলে সবার আগে হাত দিতে হবে গাজায় মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হামাসের গোপন সুড়ঙ্গে। আর হামাস যোদ্ধাদের এসব আস্তানা ধ্বংসে মরিয়া ইসরাইলের প্রতিরক্ষা দপ্তর। সেই শক্তিই যেন জানান দিলো এই ভিডিওতে।

আরো পড়ুন:

ইসরাইলের গোয়ান্দারা দাবি করে আসছে, গাজার সবচেয়ে বড় আল-শেফা হাসপাতালের নিচে হামাসের 'কমান্ড বাঙ্কার' রয়েছে। যেখান থেকে তারা যুদ্ধ পরিচালনার সব নির্দেশনা দিয়ে আসছে। শেফা হাসপাতাল ছাড়াও গাজার বেশিরভাগ হাসপাতালেই হামাসের সুড়ঙ্গপথ রয়েছে বলে দাবি তাদের।

যুদ্ধাপরাধের ভয়ে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে হাসপাতালে হামলা চালাতে পারে না ইসরাইল। সেই সুযোগকেই কৌশলে হামাস কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বিভাগের।

তবে ইসরাইলের এ অভিযোগের ভুল প্রমাণ করতে বুধবার তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। ইসরাইলের প্রকাশিত ভিডিওতে, গাজার শেখ হামাদ বিন খালিফা হাসপাতালের পেছনের এই জায়গাটিকে হামাসের সুড়ঙ্গের মুখ বলে দাবি করে। আল-জাজিরার তদন্তে উঠে আসে এটি কেবল একটি পানির রিজার্ভ ট্যাংক-এর মুখ।

গাজায় শত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হামাসের তৈরি এসব টানেল। মাটির নিচে যার গভীরতা ৭০ থেকে ৮০ মিটার। তেল আবিবের দাবি, এই টানেলের নিচেই জিম্মি রাখা হয়েছে ইসরাইলের দুই শতাধিক বন্দিকে। তাই ইসরাইল চাইলেও হামাসের এসব সুড়ঙ্গে সর্বাত্মক অভিযান চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

এসএসএস