বাগদাদ আর মসুলের পর দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর এটি। ১৯৬০ সালে এই শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলোর জন্যই বসরা পরিচিত ছিল আরবের ভেনিস হিসেবে। কিন্তু দূষণে সৌন্দর্য হারিয়েছে নদীগুলো।
নদীগুলো খুব সুন্দর ছিল, পানি পরিষ্কার ছিল, শহরের বাসিন্দারা এখানে কাপড় ধুতো। কিন্তু দূষণ আর জলাবদ্ধতায় নদীর চেহারাই পাল্টে গেছে।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘নদীর পাড় দিয়ে কতো হেঁটে যেতাম। গাছের ছায়ায় বসে থাকতাম। ক্যাফেগুলোও খুব সুন্দর লাগতো। এখনও হয়তো স্বর্গের মতো থাকতো এই জায়গা। এখান বসে কবিতাও লিখতাম।’
কয়েক দশকের দূষণ, কৃষিকাজ কমে যাওয়া, পানি স্বল্পতায় নদীগুলো এখন শুকিয়ে পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে।
শহর কর্তৃপক্ষ বলছে, এই জলপথে প্রাণ ফেরাতে কাজ করছে তারা।
বাস্তবে অনেক নদী নেই, উধাও হয়ে গেছে। গেলো দুই দশকে নগরায়ণ, কৃষিকাজ আর দূষণে শেষ হয়ে গেছে নদীগুলো। কিন্তু একটা শহরের সামাজিক আর অর্থনৈতিক কাঠামো নির্ভর করে নদীর ওপর। জ্বালানি তেল আবিস্কারের আগেও বসরা কৃষিকাজের জন্য পরিচিত ছিলো।
আপাতত নদীগুলোর ১০ শতাংশ সবুজায়নের পরিকল্পনা করেছে শহর কর্তৃপক্ষ। এতে করে কিছুটা হলেও প্রাণ ফিরে পেতে পারে এগুলো।
ইরাকের মূল বন্দর হিসেবে পরিচিত বসরা, যা সাত আল আরাবের পশ্চিমতীরে অবস্থিত। এই জলপথ তৈরি হয়েছে ঐতিহাসিক ইউফ্রেটিস আর টাইগ্রিসের মিলনস্থলে।