টর আলভা নামক দৃষ্টিনন্দন এ থ্রিডি-প্রিন্টেড টাওয়ারটি প্রায় ৩০ মিটার উঁচু। সাদা কংক্রিটের থ্রিডি-প্রিন্টেড এ স্থাপনা দেশটির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইটিএইচ জুরিখ এবং অরিজেন সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় তৈরি এ টাওয়ারটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু থ্রিডি-প্রিন্টেড বলে দাবি তাদের। অবকাঠামোটিতে ভাস্কর্যযুক্ত কংক্রিট কলাম রয়েছে ৩২টি। যেগুলো রোবোটিক প্রিন্টিং পদ্ধতিতে তৈরি। যা জুরিখের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকদের দ্বারা উদ্ভাবিত এক অভিনব নির্মাণশৈলী হিসেবে ইতোমধ্যে বাহবা পাচ্ছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ওয়াল্টার কাউফম্যান (ইটিএইচ জুরিখ) বলেন, 'এ টাওয়ারটি আসলে একটি বহুতল ভবন। যা চারতলা বিশিষ্ট। এরমধ্যে যেমন মেঝে রয়েছে, তেমনি থ্রিডি প্রিন্টেড কংক্রিট কলাম আছে ৩২টি।'
অধ্যাপক ওয়াল্টার কাউফম্যান (ইটিএইচ জুরিখ)আরও জানান, আমরা এটি তৈরির আগে স্থানান্তর নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কাঠামোটিতে বেশ কয়েকটি টুকরো রাখা হয়েছে যাতে প্রয়োজনে ভেঙে ফেলা এবং পুনরায় কোথাও নির্মাণ করা যায়।
টর আলভা নামক এ বিশেষ টাওয়ারটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা। এমনকি যে গ্রামে এটি তৈরি করা হয়েছে সেখানকার বর্তমান বাসিন্দা মাত্র ১১ জন। জনসংখ্যাও কমতির দিকে। তাই আকর্ষণীয় থ্রিডি-প্রিন্টেড টাওয়ার তৈরির পেছেনে আরেকটি বড় লক্ষ্য হলো, ঐতিহাসিক এ গ্রামকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলা। রাতে টাওয়ারটির আলোর খেলা যে কারো মনকে রাঙিয়ে তুলবে। মনে হবে এটি পৃথিবীর এক কোনো স্বর্গের প্রতিচ্ছবি। যা আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে ১৫ শতকে এক ওয়ালসার গোষ্ঠী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত গ্রামটি আবারও জমজমাট হয়ে ওঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।