কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস জানিয়েছে অবরুদ্ধ ও বোমাবর্ষণে ক্ষতবিক্ষত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির উদ্দেশ্যে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে তারা ১০ ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। তবে গোষ্ঠীটি সতর্ক করে বলেছে, অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলিদের হামলা বন্ধ এবং উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে তারা উদ্যোগ নিয়েছে। তবে ইসরাইলের একগুঁয়েমির জন্য যুদ্ধবিরতির চলমান আলোচনা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করে হামাস।
নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুব কাছাকাছি আছেন তারা। ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে ইসরাইল। তবে ইসরাইল ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির উপর জোর দিচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে জীবিত ও মৃত জিম্মিদের ফেরত দেবে হামাস।’
তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলার মধ্যেও গাজায় ইসরাইলি বাহিনী একদিনে হত্যা করেছে ১০৫ জন ফিলিস্তিনিকে। ইসরাইলি হামলায় গাজায় মোট প্রাণহানি সাড়ে ৫৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
শিগগিরই গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও তার সাম্প্রতিক মন্তব্যে আগের মতো জোরালো আশাবাদ দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এ সপ্তাহ বা আগামী সপ্তাহে আমরা একটা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি। তবে কিছুই নিশ্চিত নয়। যুদ্ধ, গাজা কিংবা বাকি জায়গাগুলোয় কোনো কিছুই নিশ্চিত না।’
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক প্যাটি কালহেইন জানান, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন যতটা আশাবাদী, ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহুর সফরের আগমুহূর্তে তিনি যতটা জোর দিয়ে যুদ্ধবিরতির কথা বলছিলেন, এখন আর ততটা বলছেন না।
তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা বলছেন, এখন একটিমাত্র বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে।’
তবে হামাস জানিয়েছে, এটা ভুল তথ্য। তারা এখনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চায়, সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করতে চায় ইসরাইলি বাহিনী কোন জায়গা থেকে সরে যাবে, আর কে মানবিক সহায়তা বিতরণ করবে। হামাসের মতে, আলোচনা এখনো অনেক দূরে।