শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে মৌমাছির কামড়!

মৌমাছির কামড়
মৌমাছির কামড় | ছবি: সংগৃহীত
0

শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে মৌমাছির কামড়। কেনিয়ার একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে আর্থ্রাইটিস, স্ট্রোক রোগীদেরও ব্যথা নাশকে ব্যবহার হচ্ছে ব্যতিক্রমী এই চিকিৎসা পদ্ধতি। যার নাম দেয়া হয়েছে মৌমাছির স্টিং থেরাপি।

৬০ বছর বয়সী নারী গ্ল্যাডিস ওয়ানজিরু নগুনা। ২০২২ সালের শুরুতে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। অবশ হয়ে যার তার শরীরের বাম অংশ। তারপর থেকে নিয়মিত চিকিৎসা ও থেরাপি নিচ্ছেন এই নারী।

বর্তমানে কিছু শারীরিক দুর্বলতা থাকলেও মৌমাছির স্ট্রিং থেরাপিতে কিছুটা মিলেছে সুস্থতা। আগে বাম পায়ে কোনো অনুভূতি কাজ না করলেও মৌমাছির কামড়ের থেরাপিতে সক্রিয় হয়েছে স্নায়ু।

নারী গ্ল্যাডিস ওয়ানজিরু নগুনা বলেন, ‘২০২২ সালের জানুয়ারিতে আমার স্ট্রোক হয়েছিল। তারপর চিকিৎসকরা আমাকে বাড়িতে ফিজিওথেরাপি করার পরামর্শ দিয়েছিল। যখন আমি এখানে আসি, তখন আমার বাম পায়ে কোনও শক্তি ছিল না। এখন, আমি আমার পা অনুভব করতে পারছি, যখন আমি দাঁড়াই তখন আমি অনুভব করতে পারছি, কিছুটা শক্তি ফিরে পাচ্ছি। এখন, আমি মৌমাছির কামড়ের ব্যথাও অনুভব করতে পারি।’

কেনিয়ার মুরাঙ্গা বেলাফার্ম আফ্রিকা নামের সুস্থতা কেন্দ্রে শুধু স্ট্রোকের রোগী নয়, আর্থ্রাইটিস, এন্ডোমেট্রিওসিসের মতো অন্যান্য রোগের ব্যথা উপশমে রোগীদের দেয়া হয় মৌমাছির এই স্ট্রিং থেরাপি।

চিকিৎসকরা জানান, প্রতি সপ্তাহে থাকে একটি সেশন। যেখানে রোগীদের শরীরের ফুটানো হয় মৌমাছির চার থেকে দশটি হুল।

চিকিৎসকদের একজন বলেন, ‘প্রতি সেশনে আমরা গড়ে চার থেকে দশটি মৌমাছির হুল ব্যবহার করি। রোগীর শক্তি, অবস্থান ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা দেই। প্রতি সপ্তাহে তিনটি সেশন ব্যবহার করা যাবে। থেরাপিতে আমরা বয়স্ক মৌমাছি ব্যবহার করি। আমরা গবেষণা করছি একটি ইনজেকশন তৈরি শুরু করতে পারি, যাতে মানুষ শিশি কিনতে পারে। যদিও ফার্মেসি এবং বোর্ডের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’

নাইরোবির আন্তর্জাতিক পোকামাকড় শারীরবিদ্যা ও বাস্তুবিদ্যা কেন্দ্রের গবেষকরা বলছেন, মৌমাছির বিষ এবং এর ব্যবহার নিয়ে পাওয়া গেছে সুফল। মৌমাছির বিষে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রোগীদের অ্যালার্জি পরীক্ষার পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রয়োগ হতে পারে বিপজ্জনক।

মৌমাছির এই স্ট্রিং থেরাপিতে প্রতি সপ্তাহে গুনতে হবে ৩ ডলার ৮০ সেন্ট।

সেজু