মধ্য রাশিয়ায় ব্যতিক্রমী সার্কাস, দুঃখ-ক্লান্তি ভুলতে হাজির হাজারো দর্শক

সার্কাস প্রদর্শনীতে শিল্পীরা
সার্কাস প্রদর্শনীতে শিল্পীরা | ছবি: সংগৃহীত
0

মধ্য রাশিয়ার একটি শহরের সড়কে হয়ে গেল ব্যতিক্রমী সার্কাস উৎসব। যেখানে জড়ো হয়েছিলেন হাজারেরও বেশি দর্শক। এমন আয়োজন মানুষকে তাদের জীবনের দুঃখ, ক্লান্তি ভুলতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদী আয়োজকরা।

মধ্য রাশিয়ার ছোট শহর স্টারিতসা। প্রাচীন ইতিহাসের স্বাক্ষী হিসেবে পরিচিত স্টারিতসা শহর মূলত গির্জা ও মঠের জন্য বিখ্যাত। গেলো সপ্তাহে শত শত সার্কাস শিল্পীর অংশগ্রহনে এই শহরে আয়োজিত হয়েছে কারানদাশ ফেস্ট নামে একদিনের সার্কাস উৎসব।

বিখ্যাত সোভিয়েত জোকার মিখাইল রুমিয়ান্তসেভের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই একদিনের সার্কাসটি আয়োজিত হয়। যেখানে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার সার্কাস প্রেমী দর্শক। যাদের অধিকাংশই এসেছিলেন মস্কো এবং সেন্ট পিটার্সবাগ থেকে।

সার্কাস দেখতে আসা অনেক দর্শক ছেলেবেলার স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। অনেকে বলছেন, বিনোদনের সকল মাধ্যমের সহাবস্থান প্রয়োজন। এটি সংস্কৃতি বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখে। আধুনিক বিনোদন মাধ্যমগুলো ডিজিটাল হলেও, সার্কাস এখনও অনেকেরই পছন্দ।

আরও পড়ুন:

দর্শকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই সার্কাস দেখতে পছন্দ করি। বড় হবার পর বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সঙ্গে যখন কাজ করতে শুরু করি, তখন হাসপাতালে প্রায়ই ক্লাউন আসতেন। তাদের সঙ্গে আমি দেখা করতাম, কথা বলতাম। তারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।’

আরেকজন দর্শক বলেন, ‘সিনেমার মতো মনে হচ্ছে। যখন সার্কাস শুরু হয় তখন মানুষ বলেছিল যে, থিয়েটারের আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমি মনে করি, দুটোর-ই প্রয়োজন আছে।’

দর্শকদের কাছ থেকে সাড়া পেয়ে অভিভূত সার্কাসে অংশ নেয়া শিল্পীরা। তারা বলছেন, জীবনে কাজই সব নয়, হাস্যরসেরও প্রয়োজন আছে। এমন আয়োজন জীবনের ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে সবাইকে।

শিল্পীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমি অস্থির একটি সময়ে বেড়ে উঠেছি, যেখানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক, সামরিক নানা সমস্যা ছিল। এতোকিছুর পরও মানুষ হাসতে চায়। তাদের উৎসব প্রয়োজন, আনন্দ প্রয়োজন। এই উৎসব তাদের আনন্দ দিবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

এসএইচ