গাজায় অনাহারে এখন পর্যন্ত ২১২ জনের মৃত্যু

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনিরা
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনিরা | ছবি: সংগৃহীত
0

গাজায় অনাহারে প্রাণ গেছে আরও ১১ জনের। না খেতে পেয়ে উপত্যকাটিতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১২ জন। এছাড়া, প্যারাস্যুট থেকে খসে পড়া ত্রাণের আঘাতে মারা গেছে ১৫ বছরের এক কিশোর। এদিকে, নেতানিয়াহুর গাজা সিটি দখলের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ মিশর-তুরস্কসহ ২৩ দেশের সরকার প্রধান ও আরব লিগের নেতারা। এমন বাস্তবতায় আজ জরুরি বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

এদিকে, ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসনের প্রতিবাদে উত্তাল লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা-চিলির রাজপথ। অন্যদিকে, যুদ্ধ বন্ধের কোনো উদ্যোগ না নিয়ে সংঘাত চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ খোদ ইসরাইলিরা। রাজধানী তেল আবিবে সরকার পতনের দাবিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিক্ষোভ।

জাতিসংঘ বলছে, গেল মে থেকে এখনও পর্যন্ত শুধু ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেছে হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির। যাদের অধিকাংশকেই গুলি করে মারা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল মদদপুষ্ট গাজা হিউম্যানেটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত সাইটে।

এদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর গাজা সিটি দখল করার পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা ও বিরোধিতা করছে ইসলামিক ব্লকের ২৩টি দেশ, আরব লিগ। সম্মিলিত এক বিবৃতিতে মানবতাবিরোধী এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক যুদ্ধ আইন অবমাননার অভিযোগ এনেছেন তারা।

এই তালিকায় আছে মিশর, কাতার, জর্ডান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহারাইন, ওমান, ইয়েমন, সুদান, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ।

এছাড়া, রাষ্ট্রযন্ত্র ইসরাইলপন্থী হলেও ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন ও ভূখণ্ড অধিগ্রহণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায়। ত্রাণ আটকে রেখে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের নির্যাতন করায় রাস্তায় নেমেছেন চিলির সাধারণ মানুষ।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে স্পেনের বার্সেলোনায়। গাজা দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে ইয়েমেনের রাজধানী সানায়ও।

অন্যদিকে, নেতানিয়াহুর গাজা সিটি দখলকে যুদ্ধ আরও প্রলম্বিত করার কৌশল হিসেবে দেখছেন খোদ ইসরাইলিরাই। শনিবার সরকার পতনের জোরালো দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে রাজধানী তেল আবিবেও।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়া ও জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে উদাসীন আচরণ করায় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছেন জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরাও। তারা মনে করেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সংঘাত চালিয়ে যেতে চান এই রাষ্ট্রপ্রধান।

সেজু