আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে ট্রাম্পের নতুন ভিসা নীতি

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি: সংগৃহীত
0

যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ কর্মী ভিসার জন্য নতুন ধার্য করা এক লাখ ডলারের ফি কার্যকর হচ্ছে আজ। তবে আগে থেকে যারা এইচ-ওয়ান বি ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তাদের বেলায় এ ফি কার্যকর হবে না বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউজ। এদিকে, ট্রাম্পের এ ভিসা নীতির প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এতে করে সৃষ্টি হতে পারে মানবিক সংকট। যদিও এতে করে মেধা পাচারের প্রবণতা কমাতে পারে বলে মনে করেছেন ভারতের সাধারণ নাগরিকরা।

বিদেশ থেকে দক্ষ কর্মী আনতে এইচ-ওয়ান বি ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন দেড় হাজার ডলারের পরিবর্তে ফি হিসেবে গুণতে হবে ১ লাখ ডলার, শুক্রবার এমনই এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও এ আদেশের খুঁটিনাটি নিয়ে সংশয় ছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।

অবশেষে এ প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাওয়া গেছে হোয়াইট হাউজ মুখপাত্রের এক্স বার্তা থেকে। সেখানে ক্যারোলিন লেভিট স্পষ্ট করেছেন, ১ লাখ ডলারের এ ফি এককালীন ফি। এটি বার্ষিক ফি নয়। পাশাপাশি এ ফি শুধু নতুন ভিসার আবেদনের বেলায় প্রযোজ্য হবে। চলতি সেপ্টেম্বরের নতুন সাইকেলে যারা লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন সেসব আবেদনকারীদের গুণতে হবে এই ফি। এছাড়া, এইচ-১বি ভিসাধারীরা আগে যেমন স্বাভাবিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়া আসা করতে পারতেন, এখনও তাই পারবেন। এইচ-ওয়ান বি ভিসার মেয়াদ ৩ বছরের হওয়ায় এই এক লাখ ডলার ফি প্রতিবছর দিতে হবে কী না এ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল।

আরও পড়ুন:

এইচ-ওয়ান বি ভিসার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীরা সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে সেখানকার সংস্থাগুলোর হয়ে কাজ করতে পারেন। যদিও নতুন ফি এর কারণে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেতে যাচ্ছে ভারতকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো টিকে আছে চীন ও ভারতের দক্ষ কর্মীদের ওপর। এখন প্রশ্ন ওঠে, এত বিপুল অর্থ খরচ করে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো ভারত বা চীন থেকে কর্মী আনবে নাকি সেখানে ব্যবহার করা হবে স্থানীয়দের।

দক্ষ কর্মীদের ভিসার ওপর এক লাখ ডলার ফি আরোপের সিদ্ধান্ত মানবিক সংকট ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর। বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, এই নতুন নিয়মের কারণে অনেক পরিবার বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। যদিও নয়াদিল্লির এ প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে মিলছে না ভারতের সাধারণ মানুষের বক্তব্য। তারা মনে করেন, বর্ধিত ফি র কারণে বন্ধ হবে মেধা পাচার।

তবে, ভারতের বেসরকারি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ন্যাসকমের দাবি, খুব তাড়াতাড়ি আইনি বাধার মুখে পড়তে পারে এইচ-ওয়ান বি নীতি। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিখাত ছাড়াও বৈশ্বিক কর্মসংস্থানে পড়বে নেতিবাচক প্রভাব। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ব্যয় কমাতে গিয়ে কর্মী হারাতে পারে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো।


ইএ