প্রায় চার বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে দফায় দফায় আলোচনার টেবিলে কিয়েভ ও এর ইউরোপীয় মিত্ররা। এরইমধ্যে প্রতিনিধি পাঠিয়ে কিয়েভ ও মস্কোকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে বৈঠকও সেরেছে ওয়াশিংটন। এ সপ্তাহেও আরেক দফা বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। তবে এতো কিছুর মাঝেও পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রেখেছে কিয়েভ ও ক্রেমলিন।
এ কারণে মস্কোর সঙ্গে লড়াইয়ে টিকে থাকতে ও যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভের মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে অর্থের সংস্থানে বার বার ইউরোপের দ্বারস্থ হন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দাবি রাখেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকা জব্দ করা রুশ সম্পদ ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনায় ব্যবহারের। মিত্র দেশের চাওয়া পূরণে কয়েক মাস ধরে একের পর এক বৈঠকে বসেন ন্যাটো ভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।
কিন্তু সব দেশ ঐকমত্যে না পৌঁছানোয় জব্দ করা রুশ সম্পদ ছাড়াই কিয়েভকে ১০৫ বিলিয়ন ডলারের সুদমুক্ত ঋণ দিতে ঐকমত্যে পৌঁছায় ইইউর নেতারা। আগামী দুই বছর ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতে ব্যয় করা হবে এ অর্থ।
আরও পড়ুন:
এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে কিয়েভবাসীর মধ্যে। অনেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, ভিন্ন মতও দেন অনেক ইউক্রেনীয়
ইউক্রেনের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘সম্ভবত ইউরোপ চায় না তাদের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বন্দ্ব বাড়ুক । একারণে তারা মস্কোর সম্পদ না দিয়ে নিজেদের অর্থ আমাদের ঋণ হিসেবে দিয়েছে।’
অন্য আরেকজন বলেন, ‘ইউরোপ শঙ্কায় রয়েছে যদি রুশ অর্থ ইউক্রেনকে দেয়া হয় তাহলে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তের পক্ষেও সাফাই গাচ্ছেন অনেকে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তের সমর্থন জানিয়ে একজন ইউক্রেনীয় বলেন, ‘সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে পশ্চিমারা আমাদের সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপিয়ানরা কিয়েভের অর্থায়ন রুশ অপেক্ষা নিজেদের কোষাগারকে গুরুত্ব দিলে এটা তাদের একান্ত বিষয়।’
২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার প্রায় ৩৩৯ দশমিক তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার জব্দ করেছে। এর সিংহভাগই রয়েছে বেলজিয়ামের কোষাগারে।





