২০২৩ এর আগস্টে আলোচিত তোশাখানা মামলায় লাহোরের বাসভবন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো আটক হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআইর চেয়ারম্যান ইমরান খান। ২০২৪ এর জানুয়ারিতে তোশাখানা মামলায় ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এছাড়াও, পাকিস্তানের রাজনীতিতে ১০ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন ইমরান।
২০২৪ এর জানুয়ারিতে ইমরান-বুশরার ঐ সাজা স্থগিত করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। আর অক্টোবরে পিটিশন দায়েরের পর এই মামলা থেকে জামিন পান বুশরা বিবি। ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারানোর পর কয়েকটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে আটক আছেন ইমরান খান।
আরও পড়ুন:
এবার তোশাখান ২ মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন এই দম্পতি। ইমরান ও বুশরা বিবিকে উভয়কে ১৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানার বিধান দিয়েছেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফআইএর বিশেষ আদালত।
সৌদি যুবরাজের উপহার দেয়া বুলগারির এক সেট মূল্যবান গয়নার সেট কম দাম দেখিয়ে তোশাখানা থেকে কিনে নেয়ার অভিযোগে ইমরান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এই রায় দেয়া হয়েছে।
তোশাখানার নিয়মে সরকারি কর্মকর্তারা শর্ত মেনে কমদামী কিছু উপহার নিজেদের কাছে রাখতে পারবেন। কিন্তু ইমরান খান ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রাপ্ত উপহারগুলো একেবারেই জলের দরে কিনেছেন। এবং পরে অতিরিক্ত লাভের আশায় তা খোলা বাজারে বিক্রিও করেছেন, এমন অভিযোগের পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে তোশাখানা মামলা।
আদিয়ালা কারাগারে রুদ্ধদ্বার এই বিচারসভায় থাকতে দেয়া হয়নি ইমরানের পরিবারের সদস্যদের। এর প্রতিক্রিয়ায় ইমরান খানের বোন আলিমা খান বলেছেন, ক্যাঙ্গারু আদালতের এই রায় স্বাধীন বা নিরপেক্ষ নয়। এটি সামরিক বিচারের সামিল।
তবে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফআইএর বিশেষ আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে যেতে পারবেন ইমরান দম্পতি।





