যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে অন্তত ৪০০ ফিলিস্তিনি হত্যা করেছে ইসরাইল

গাজায় ইসরাইলের হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি স্থানের ছবি
গাজায় ইসরাইলের হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি স্থানের ছবি | ছবি: সংগৃহীত
0

প্রথম ধাপের চলমান যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে এপর্যন্ত অন্তত ৪শ' ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এরমধ্যেই গাজাবাসীর কষ্টের তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে শীতকাল। এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ফ্লোরিডার মায়ামিতে বৈঠক করেছে মধ্যস্থতাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও তুরস্ক। মানবিক সহায়তা প্রবাহ বাড়াতে সব সীমান্ত খুলে দিতে ইসরাইলের ওপর চাপ দেয়ার জন্যও হয়েছে আলোচনা।

১০ অক্টোবর কাগজে-কলমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজায় এখনও থামেনি ইসরাইলি আগ্রাসন। প্রায় প্রতিদিনই চালাচ্ছে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ। এতে প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চলাকালে অন্তত ৪শ’ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকেও বেরিয়ে আসছে অসংখ্য মৃতদেহ। শনিবার একদিনেই উদ্ধার করা হয়েছে ৯৪টি মরদেহ। এতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ৭১ হাজারে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও কোনো জায়গা নিরাপদ নেই বলে অভিযোগ গাজাবাসীর।

গাজাবাসীরা বলেন, ‘ইসরাইলি গণহত্যা কিছুতেই থামছে না। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও শিশুসহ নিরীহ বেসামরিক লোকদের হত্যা করা হচ্ছে। ইসরাইলি বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কী?’

আরও পড়ুন:

ইসরাইলি বর্বরতার মধ্যে গাজাবাসীর কষ্টের তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে শীতকাল ও অসময়ের বৃষ্টিপাত। শীতবস্ত্র ও মানবিক সহায়তা সংকটে চরম দুর্ভোগে তাঁবুতে বসবাস করা বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী। ১৬ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য-সংকট ও অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘এখন প্রতিদিনই হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। শীত মৌসুম গাজার শিশুসহ সবার জন্যই অত্যন্ত কঠিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে খুব চিন্তিত। আপনি দেখতে পাচ্ছেন, আমাদের পর্যাপ্ত শীতের পোশাক নেই। আমি চাই অন্তত আমার বাচ্চারা ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকে রক্ষার জন্য শীতবস্ত্র পাক।’

এমন পরিস্থিতিতে হামাস-ইসরাইল উভয় পক্ষকেই যুদ্ধবিরতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে মধ্যস্থতাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও তুরস্ক। ফ্লোরিডার মায়ামি শহরে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো। যেখানে ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছে ওয়াশিংটন। যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করতে এবং আরও বেশি সহায়তা পৌঁছাতে সীমান্ত ক্রসিং পুরোপুরি খুলে দেয়ার ওপরও জোর দিয়েছে শান্তি পরিকল্পনাকারী দেশগুলো।

ইএ