কাশ্মীরে গুলিবিনিময় বন্ধে পাকিস্তানকে সতর্ক করলো ভারত

কাশ্মীর এর ছবি এবং ভারত-পাকিস্তানের পতাকা | ছবি: সংগৃহীত
0

পাকিস্তান বিমান বাহিনীর তৎপরতায় অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশসীমায় টহলরত যুদ্ধবিমান সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে ভারত। টানা ছয়দিন ধরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুপক্ষের গোলাগুলির মধ্যে এবার ইসলামাবাদকে উস্কানিমূলক হামলা ও গুলিবিনিময় বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নয়াদিল্লি। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে কেবিনেট কমিটি থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে চারটি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র হচ্ছে যুদ্ধের আশঙ্কা। কার্গিল যুদ্ধের ২৫ বছর পর আবারও রক্তপাতের পথে দু'দেশ।

আজ (বুধবার, ৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশসীমায় টহল শুরু করে ভারতীয় বিমান বাহিনী। যদিও পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের তাড়া খেয়ে লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয় ভারতের ডিএসলট রাফায়েল জেট বিমানগুলো।

রেডিও পাকিস্তানের তথ্য বলছে, নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অব কন্ট্রোল অতিক্রম না করেই, ভারতের যুদ্ধবিমান মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত থেকে কাশ্মীরের আকাশসীমায় ওৎ পেতে ছিল। পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর ভারতের এই গতিবিধি লক্ষ্য করার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নেয়। এ অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি ভারত বা পাকিস্তান কোনো পক্ষই।

তবে সতর্ক রয়েছে ইসলামাবাদ। গিলগিটসহ উত্তরাঞ্চলে আসা-যাওয়ার সব ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া চীনের জিনজিয়াং ও লাদাখ সীমান্তে স্কারদুগামী লাহোর ও ইসলামাবাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স।

এদিকে হামলার পর টানা ছয়দিন ধরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলিবিনিময় করেছে ভারত ও পাকিস্তানের সেনারা। যদিও ভারতীয় সেনাদের পিঠ বাঁচাতে ইসলামাবাদকে উসকানিমূলক হামলা ও গুলিবিনিময় বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নয়াদিল্লি।

অধিকৃত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হামলা করতে পারে এমন আশঙ্কা জানিয়ে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার নির্দেশ ভারতীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। বাড়ানো হয়েছে পুলিশি পাহারা। বন্ধ আছে অধিকাংশ পর্যটন অঞ্চল।

পেহেলগামে হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার কোনো আলামত সামনে আনতে না পারলেও একের পর এক হাই ভোল্টেজ বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সবশেষ বুধবার বৈঠক করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক কেবিনেট কমিটির সঙ্গে।

অন্যদিকে, কাশ্মীরে পর্যটক হত্যার জেরে ছয় দিনে প্রায় ৮00 পাকিস্তানিকে জোর করে ভারত ছাড়তে বাধ্য করেছে মোদি প্রশাসন। এর প্রতিক্রিয়ায় ২৪ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত এক হাজার ১০০ এর বেশি ভারতীয়কে আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ইসলামাবাদ। তবে প্রতিবেশি দেশের নাগরিকদের চাপে ফেলে দেশ থেকে তাড়ানোর প্রথম পদক্ষেপ নেয় নয়াদিল্লি।

এসএস