ক্ষোভে উত্তাল পেশওয়ার। খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী ও ঐতিহাসিক শহরটিতে ইমরান সমর্থকদের ঢল। স্লোগানে মুখর পিটিআইয়ের জলসা প্রাঙ্গণ।
পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর— আইএসপিআরের মহাপরিচালক আহমেদ শরীফ চৌধুরীর একটি বক্তব্য ঘিরে এ বিক্ষোভ। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) কারাবন্দি ইমরান খানের নাম উল্লেখ না করে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে মানসিক বিকারগ্রস্ত, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি ইত্যাদি বলে কটাক্ষ করেন আইএসপিআর ডিজি। ইমরান ও পিটিআইয়ের সঙ্গে ভারত ও ভারতীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের যোগসূত্র আছে এমন অভিযোগও তোলেন তিনি।
আহমেদ শরীফ চৌধুরীর এ বক্তব্যের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে পাকিস্তানে। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার এমন বক্তব্যকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত অসম্মানজনক বক্তব্য উল্লেখ করে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী উভয়েই আইএসপিআর মহাপরিচালকের বক্তব্যকে সমর্থন করে গেছেন।
এর জেরে গতকাল (রোববার, ৭ ডিসেম্বর) পেশওয়ারে গণসংযোগের ডাক দেয় পিটিআই। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী সোহাইল আফ্রিদি হুঁশিয়ারি দেন, ইমরানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর দুঃসাহস দেখালেও তার নাম উচ্চারণ করতে সাহস হয়নি আইএসপিআর মহাপরিচালকের।
আরও পড়ুন:
সোহাইল আফ্রিদি বলেন, ‘এনার, ওনার, তার, তাদের- এ সবের মানে কী? আপনি ওনার নাম কেন বলতে পারছেন না? উনি ইমরান আহমদ খান।’
কারাগারে ইমরানের সঙ্গে তার পরিবার ও পিটিআই নেতাদের দেখা করতে না দেয়া, মৃত্যুর গুজব- সবকিছু মিলেই গেল মাস থেকেই পাকিস্তানের রাজনীতির হাওয়া উত্তপ্ত। মারিও নওফেলের জনপ্রিয় পডকাস্টে এসে ইমরান খানের দুই বোন অভিযোগ করেন এ সবকিছুর জন্যই দায়ী পাকিস্তানের প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধান হিসেবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত আসিম মুনির।
ইমরান খানের বোন বলেন, ‘ইমরান খানের কোনো ধারণাই ছিল না বাইরে কী হচ্ছে। তিনি অনেক রেগে ছিলেন, বারবার আমাকে একটাই কথা বলেছেন, বাইরে গিয়ে সবাইকে জানাও, এ পুরো পরিস্থিতির জন্য একমাত্র আসিম মুনির দায়ী। যদি আমার বা বুশরার কিছু হয়- তাহলে বুঝে নিও এর পেছনে আসিম মুনিরের হাত আছে।’
এদিকে ক্ষমতা ও জনসমর্থন ধরে রাখার লড়াইয়ে টিকে থাকতে পাল্টা কর্মসূচি পালন করেছে পিটিআই বিরোধী ও ক্ষমতাসীন জোটের অন্যান্য শরীক দলের নেতারা। তাদের অভিযোগ, পিটিআই দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করে ফায়দা লুটতে চায়। এজন্য তারা রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি দপ্তরকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।





