নিহতদের কবরের সংকটে গাজাবাসী, এক কবরেই একাধিক মানুষ

গণকবর দেয়া হচ্ছে গাজায়
গণকবর দেয়া হচ্ছে গাজায় | ছবি: সিএনএন
1

ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের কবর দেয়ার মতো পর্যাপ্ত জায়গা পাচ্ছেন না নিহতের স্বজনরা। বাধ্য হয়ে এক কবরে একাধিক মানুষকে দাফন করতে হচ্ছে তাদের। কবরস্থানে জায়গা না পেয়ে অনেক সময় রাস্তার ধারেই কবর দিতে হয়েছে অনেককে। এমনকি গণকবর দেয়ার বিষয়টিও সাধারণ ঘটনায়ও পরিণত হয়েছে গাজায়।

গাজা উপত্যকার ব্যস্ততম একটি কবরস্থানে প্রতিদিনই দাফন করা হচ্ছে ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের। তবে এখানকার কবরের সংখ্যা সীমিত হলেও ফিলিস্তিনি মানুষের লাশের সারি দীর্ঘ। তাই উপায় না পেয়ে এক কবরেই একাধিক মানুষকে দাফন করতে হচ্ছে গাজাবাসীর।

গাজার প্রায় প্রতিটি কবরস্থানের চিত্র প্রায় একইরকম। ইসরাইলি হামলায় চিরতরে হারিয়ে যাওয়া আপনজনদের জন্য সাড়ে তিন হাত জায়গার ব্যবস্থাও করতে পারেন না অনেকে। এ আক্ষেপ গাজার প্রায় প্রতিটি স্বজনহারা মানুষের মনে।

গাজার একজন বলেন, ‘গতকাল এখানে আমার এক বন্ধুকে দাফন করেছি। এর এক দিনের মাথায় আবার এ কবরটি খুঁড়তে হয়েছে আমরা চাচাতো ভাইকে দাফন করার জন্য। কারণ কবর দেয়ার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই এখানে।’

আরও পড়ুন:

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। বিপুল সংখ্যক মানুষকে কবর দেয়ার মতো পর্যাপ্ত জায়গাও রাখেনি দখলদাররা। এরইমধ্যে উপত্যকাটির পূর্বাঞ্চলের বড় বড় কবরস্থানগুলো ইসরাইলিরা দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ ফিলিস্তিনিদের।

স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত এখন আর কোনো ভালো কবরস্থান নেই। পূর্বাঞ্চলীয় ও শুজাইয়া কবরস্থান নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরাইলি দখলদাররা। প্রিয়জনদের দাফনে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কখনও কখনও ফুটপাতে বা রাস্তার পাশে আত্মীয়দের দাফন করতে বাধ্য হই। আজকাল কবরস্থান খুঁজে পাওয়া কঠিন।’

এমনকি অনেক সময় কবরস্থানে জায়গা না পেয়ে রাস্তার ধারে কিংবা খোলা মাঠে সুবিধাজনক কোনো জায়গায় কবর দিতে হয় ফিলিস্তিনি মুসলিমদের।

গাজায় বসবাসকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘প্রতিবারই একজনকে কবর দিতে অন্য আরেকজনের কবর খুঁড়তে হয়। কোনো জায়গা অবশিষ্ট নেই, কোনো কবরস্থান নেই ‘

এ পরিস্থিতিতে অনেক সময় গণকবরের ব্যবস্থা করতে হয় ফিলিস্তিনিদের।

এসএস