যুক্তরাষ্ট্র কখনো যুদ্ধকে সমর্থন করে না: ট্রাম্প

0

যুক্তরাষ্ট্র কখনো যুদ্ধকে সমর্থন করে না বলে বিজয় ভাষণে সাফ জানিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ (বুধবার, ৬ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণার আগে বিজয়ী বীরের বেশে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ট্রাম্প। তিনি জানান, তার শাসনামলে পৃথিবী কোনো যুদ্ধ দেখেনি। ভবিষ্যতেও এ নীতিতে অবিচল থাকার নিশ্চয়তা দিয়েছেন ৭৮ বছর বয়সী এই বর্ষীয়ান নেতা। এদিন রিপাবলিকান সমর্থকদের অভিনন্দন জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এর চেয়ে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন আসেনি। প্রতিশ্রুতি দেন, সীমান্ত সংকটসহ দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন।

৭৮ বছর বয়সেও ভেলকি দেখালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আগের দিনও অধিকাংশ জনমত জরিপ যখন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিসের দিকে ঝুঁকে ছিল, ঠিক তখনই ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন দেখলো গোটা বিশ্ব। সাতটি স্যুইং স্টেটের পাঁচটিতে দেড় পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও দিনশেষে পেনসিলভেনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা আর জর্জিয়ার ৫১টি ইলেকটোরাল ভোট জিতে সব অংক বদলে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নির্বাচনে জয় যখন প্রায় সুনিশ্চিত তখন ফ্লোরিডার ওয়েস্ট প্লাম বিচে রিপাবলিকান সমর্থকদের অভিনন্দন জানান ট্রাম্প। দাবি করেন, ৫ নভেম্বর মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় একটি ঘটনা।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'এটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদল। দেশের ইতিহাসে এমন নির্বাচন কেউ দেখেনি। দেশকে ভিন্ন একটি উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ানোই আমার প্রধান কাজ। আমরা সীমান্ত সংকট সমাধান করব। দেশে চলমান সব ধরনের সংকট দূর করব।'

ভোটের লড়াইয়ে দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়ে হোয়াইট হাউজের মসনদে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী কামালা পেয়েছেন ৪৭ শতাংশের কিছু বেশি ভোট। গেল ২০ বছরে ডেমোক্র্যাটদের আধিপত্য ছিল এমন ৪ স্যুইং স্টেট নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া, পেনসিলভেনিয়া আর উইসকনসিনে এগিয়ে যাওয়ার কোনো ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই জয় নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ ও ল্যাটিনো ভোটারদের সমর্থন আদায়ে রিপাবলিকানরা সফল হওয়ায় অনেক আগেই মূল লড়াই থেকে ছিটকে যান কামালা। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। আগামী চার বছর কতখানি নাগরিকদের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প- সেদিকেই নজর থাকবে মার্কিনদের। আর গোটা বিশ্বের চোখ তো থাকবেই।

এসএস