ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক উত্তেজনা থেকে শুরু করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কিংবা ইরান-ইসরাইল সংঘাত। বর্তমান সময়ে যে কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে হামলা-পাল্টা হামলার বেশিরভাগই আকাশসীমায় সীমাবদ্ধ। তাই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা ঠেকাতে বারবারই আলোচনায় আসছে বিভিন্ন দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে নতুন এবং আরও উচ্চ ক্ষমতার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, গোল্ডেন ডোম মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে ২০২৮ সালের মধ্যে চার স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ এই গোল্ডেন ডোম হাজির করতে চায় তারা। গেল সপ্তাহে অ্যালাবামায় তিন হাজার অস্ত্র নির্মাতা ও বিশেষজ্ঞদের সামনে হাজির করা হয় নতুন গোল্ডেন ডোমের পরিকল্পনা।
ট্রাম্পের ড্রিম প্রোজেক্ট গোল্ডেন ডোমে চার স্তর থাকবে যার একটি সরাসরি যুক্ত থাকবে স্যাটেলাইটের সঙ্গে। বাকি তিনটি সংযুক্ত থাকবে স্থলভাগের সঙ্গে। তবে নতুন এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কী ধরনের লঞ্চার, ইন্টারসেপ্টর, গ্রাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হবে তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
গোল্ডেন ডোমের বিশেষত্ব হচ্ছে এর ‘বুস্ট ফেস’ মুড। বিশেষ এই ব্যবস্থায় বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে ধীরগতিতে আসা ও দৃষ্টিগোচর হয়না এমন ক্ষেপণাস্ত্রও ধ্বংস করা সম্ভব। পাশাপাশি এর স্পেস বেসড ইন্টারসেপ্টরগুলো অন্যান্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চেয়ে দ্রুততম সময়ে মিসাইল কিংবা ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম।
আরও পড়ুন:
প্রথমদিকে ইসরাইলের আয়রন ডোম ডিফেন্স সিস্টেমের আদলে গোল্ডেন ডোম তৈরি করতে চেয়েছিল পেন্টাগন। তবে গেল জুনে দেখা গেছে ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে একাধিকবার ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দাবি, অত্যাধুনিক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ঝুঁকি থেকে বাঁচতেই গোল্ডেন ডোমকে আরও বেশি আধুনিকায়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। একশোর বেশি স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত নতুন এই গোল্ডেন ডোম রাশিয়া বা চীনের মতো দূরবর্তী দেশের হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হবে, এমন দাবি হোয়াইট হাউজের।
গেল মাসে পাস হওয়া ট্রাম্পের কর ছাড় ও সরকারি ব্যয় সংক্রান্ত বিলের আওতায় গোল্ডেন ডোম নির্মাণের জন্য ২৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের সিদ্ধান্ত এসেছে কংগ্রেস থেকে। এছাড়া প্রেসিডেন্সিয়াল বাজেটের আওতায় আরও ৪৫ বিলিয়ন খরচ হবে এ প্রকল্পে।