গত সোমবার (১০ মার্চ) সকালে রাজধানীর উত্তরার উত্তরখান থানা এলাকার পুরানপাড়ার একটি বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়াকে। এরপর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করে নিহতের ছোট ভাই। তারপরই মোটিভ উদঘাটনে নামে পুলিশ। ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নাজেম-রুপা নামের এক দম্পতিকে।
বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ঘটনাক্রমে এক রেল স্টেশনে সাইফুর রহমানের সাথে পরিচয় হয় রূপা-নাজিমের। অসহায়ত্বের কারণে ওই দম্পতিকে বাসায় এনে আশ্রয় দেন সাইফুর। এরপর থেকেই রূপাকে বিভিন্নভাবে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেন সাইফুর রহমান।
ডিএমপি'র উত্তরা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, 'ফরিদপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তারের পর নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তখন আমরা জানতে পারি যে বিভিন্ন সময়ে সাইফুর রহমান তার শ্লীলতাহানি করতো। যৌন লালসা পূরণ করার জন্য নানাভাবে তাকে যৌন নির্যাতন করতো। সাইফুর রহমান যখন বাইরে যেতো তখন তাদের তালা দিয়ে রেখে যেত।'
৯ মার্চ রাতে ঘুমের সময় সাইফুর রূপার গায়ে হাত দিলে টের পেয়ে যায় স্বামী নাজেম। এরপরেই ধস্তাধস্তি হয় তাদের। এক পর্যায়ে রূপা এবং নাজেম বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে সাইফুরকে। পরে বাথরুমে আটকে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, 'রূপার বক্তব্য মতে তার শরীরের উপরে সাইফুর রহমান হাত রাখে। তখন তাকে বটি দিয়ে কোপানো মুরু করে। মাথার খুলিতে অনেকগুলো কোপ রয়েছে। এক পর্যায়ে যখন সে ঠেকাতে যাচ্ছিল তার হাতে অনেকগুলো কোপ রয়েছে।'
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য নাজেম-রূপা দম্পতিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের হত্যা মামলায় বিচার চলবে।