এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন জানায়, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ বিএস-১৫২ ফ্লাইটে করে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা পরিবহনকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোছন আহমদকে বিমানবন্দর বলাকা ভবনের উত্তর পাশের এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ অফিসে নিয়ে আসা হলে সে পাকস্থলীতে সুকৌশলে ইয়াবা পরিবহন করছে বলে নিশ্চিত করে।
এয়ারপোর্টে কর্তব্যরত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে এক্স-রে পরীক্ষায় তার পেটে ডিম্বাকৃতির ৩০টি বস্তুর সন্ধান মেলে। পরবর্তীতে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে পায়ুপথ দিয়ে স্কচটেপ মোড়ানো ৩০ প্যাকেট ইয়াবা বের করা হয়। এগুলো খুলে দুই হাজার আট শ বিশ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
হোছন আহমদ দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রয় ও পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের হাতে কয়েকটি পৃথক অভিযানে ১৬ হাজারের অধিক ইয়াবাসহ পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ী আটক হয়।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনীতা রানী সূত্রধর বলেন, ‘আগের তুলনায় এখন বিমানবন্দর ব্যবহার করে মাদক পরিবহনের তৎপরতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা বিমানবন্দর ঘিরে সব অপরাধ কার্যক্রম রোধে সচেষ্ট আছি।’