এদিকে আহত খতিব আনম নূর রহমান মাদানী ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো বলে নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে আফনান তাকি। এই ঘটনায় শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে তিনি বাদী হয়ে মডেল থানায় বিল্লালকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর থেকেই বিচারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় ওঠে। যদিও এই ঘটনায় গতকাল রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খতিবের মৃত্যু হয়েছে বলে গুজব রটায় একটি গ্রুপ। নৃশংস এই হামলার ঘটনায় শনিবার বিকেলে জেলা জামায়াতে ইসলামী, জেলা যুব আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা শহরে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর শহরের প্রফেসর পাড়া এলাকায় মোল্লাবাড়ি মসজিদের খতিব মাওলানা আনম নূর রহমান মাদানীকে ধর্মীয় বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে বিল্লাল হোসেন।
আরও পড়ুন:
আহতদের ছেলে আফনান তাকি বলেন, 'আমার বাবা ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো আছে। আমরা এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।'
এঘটনায় শহর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, চাঁদপুরে উগ্রবাদের কোনো ঠাঁই নেই। আলেম-উলামাদের উপর হামলা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। যারা এই বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে, তাদের দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই ।
এসময় জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া, শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট শাহাজান খানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নতুন বাজার গিয়ে শেষ হয়।