আজ (বুধবার, ২০ আগস্ট) দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ ড. এ কে এম এমদাদুল হক। ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে গত ২০১২ সালের মে মাসের ৩ তারিখ সকালে মোহনগঞ্জে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তুলে নিয়ে প্রথম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে হয়ে বাড়ি গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরে এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে পরদিন মোহনগঞ্জ থানায় মাইজহাটি গ্রামের মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে বিদ্যালয় এলাকার রহমত আলীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষ পরের বছর এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে আদালতে চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
মামলার এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. নুরুল কবীর রুবেল বলেন, ‘এ রায়ের মাধ্যমে সমাজে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হলো যে কোনো ধরনের অপরাধ বিচার পরিবর্তন নয় একদিন বিচার হবেই। দোষ এরা দেরিতে হলেও সাজাপ্রাপ্ত হবে শাস্তি পাবে।’