দেড় দশক পর চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি চালবাহী জাহাজ

দেড় দশক পর চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি চালবাহী জাহাজ | এখন টিভি
0

দেড় দশক পর সরকারিভাবে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে পাকিস্তানি চালবাহী জাহাজ। প্রথম চালানে এসেছে ২৬ হাজার ২৫০ টন চাল। এ নিয়ে এ পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে আমদানি হলো ৩ লাখ টনের বেশি। রমজান মাসে আসবে আরো এক লাখ টন। আর এই আমদানির ফলে বাজারে চালের সংকট থাকবে না দাবি করেছেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হুমায়ুন কবির।

পাকিস্তানের কাসিম বন্দর থেকে ২৬ হাজার ২৫০ টন চাল নিয়ে পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজ 'এমভি সিবি' গত বুধবার বন্দরের চট্টগ্রাম কনটেইনার টার্মিনালের ১ নম্বর জেটিতে ভিড়ে। বেসরকারিভাবে পাকিস্তান থেকে চাল আসলেও গত দেড় দশকে সরকারি চুক্তির আওতায় চাল নিয়ে আসা প্রথম পাকিস্তানি জাহাজ এটি।

পাকিস্তান থেকে মোট ৫২ হাজার টন আতপ চাল আমদানির চুক্তি করেছে সরকার। দ্বিতীয় চালানে আসবে বাকিটা।

বৃহস্পতিবার সকালে চাল খালাস কার্যক্রম পরিদর্শন করে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছনাত হুমায়ূন কবীর জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানির কারণে বাজারে চালের সংকট নেই। মান ভালো ও পরিবহন খরচের কারণে পাকিস্তানি চাল দামে কিছুটা বাড়তি হলেও খুব বেশি নয় বলেও দাবি তার।

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চালের চুক্তি হয়েছে, এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন পাকিস্তানসহ আরো বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা পেয়েছি এবং আশা করছি আরো ১ লাখ মেট্রিক টন এই রমজানের মধ্যে আমরা পাবো।’

এদিকে শিপিং এজেন্ট জানায়, 'এমভি সিবির চাল খালাসে ৭ থেকে ৮ দিন সময় লাগবে।

রেনু শিপিং-এর ম্যানেজার (অপারেশন) মোহাম্মদ আরফান বলেন, ‘এই প্রথম চালানে এসেছে ২৬ হাজার ৩০০ টন, দ্বিতীয় চালান আসবে আগামী ১১ তারিখ এবং এই চালান খালাস হতে সময় লাগবে ৭-৮ দিন ।’

ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরকার এ পর্যন্ত সাড়ে সাত লাখ মে. টন চাল আমদানির জন্য চুক্তি ও দরপত্র আহ্বান করেছে।

এসএস