সারাদেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

সরাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের গেটে তালা | ছবি: এখন টিভি
0

ছয় দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। মূল ফটক ও অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা। অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের।

বিতর্কিত ক্রাফট ইনস্ট্রাকটর নিয়োগবিধি বাতিল, চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রাখাসহ ছয় দফা দাবিতে গত ১৯ মার্চ থেকে আন্দোলন করছেন সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ (মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে চলছে শাটডাউন কর্মসূচি।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকেই ময়মনসিংহ পলিটেকনিকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষক ও কর্মচারীদের বের করে দিয়ে প্রধান ফটক ও অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি, যদি আমাদের দাবি আদায় না হয় তাহলে আমরা পুনরায় রাজপথে ফিরে যাবো।’

অন্য একজন বলেন, ‘যে ছয়টি দাবি দেয়া হয়েছে, প্রতিটি যৌক্তিক। তবু কেন সরকার এমন টালবাহানা করছে?’

আরো পড়ুন:

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনিক ভবনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তালা লাগিয়ে দেন। জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে শাটডাউন কর্মসূচি।

একই দাবিতে সিলেট পলিটেকনিকের গেটেও ঝুলিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শাটডাউন কর্মসূচি চলায় সুনসান নীরবতা ক্যাম্পাসে।

সিলেট পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘সারাদেশে একযোগে সব পলিটেকনিক শাটডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সব বিভাগই আমরা তালাবদ্ধ করে রেখেছি।’

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন খুলনার ৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

একই দাবিতে বগুড়া, চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহীসহ সারাদেশের পলিটেকনিকের ইনস্টিটিউটগুলোরও স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের সরকারের তরফ থেকে রূপরেখা না আসা পর্যন্ত শাটডাউনসহ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের।

এসএস