এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এক হাতে জাতীয় পতাকা, এক হাতে দলীয় পতাকা দিয়ে অভ্যর্থনা জানাবো। আমরা ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নিয়ে বসেছি। তাকে অভ্যর্থনা জানানো শুধু বিএনপি নয়, পুরো দেশবাসীর দায়িত্ব। আমরা আশা করছি, আগামী ৫ তারিখে একটি বিশেষ বিমানে (কাতারের রয়াল অ্যাম্বুলেন্স) করে ফিরবেন।’
তিনি বলেন, ‘কাতার অ্যাম্বুলেন্সের নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি, এজন্য সিলেট হয়ে আসার কথা। কিন্তু, এখন অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় হলে ঢাকা হয়ে আসবেন। বিমানবন্দর এলাকার যানজট এড়াতে জনগণ এলিভেটেড বেছে নিলে ভালো হবে, আমার এটা অনুরোধ। আমার বিশ্বাস জনগণ সহায়তা করবেন।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মতো ত্যাগ স্বীকার করা নেত্রীর খোঁজ মেলা ভার। তিনি আমাদের সম্পদ, আলোকবর্তিকা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়ার দুই মিনিটের বক্তব্য আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
এর আগে গতকাল (শুক্রবার, ২ মে) বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের দেশে আসার কথা রয়েছে। ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন তিনি। ডা. জুবাইদা রহমান ধানমন্ডির ৫ নম্বর রোডের বাড়িতে উঠবেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন খালেদা জিয়া।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।