প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পায়ে চালানো রিকশায় যুক্ত হয়েছে মটর ও ব্যাটারি। প্যাডেল চালানোর জায়গায় এখন শুধু হাত ঘুরিয়েই দ্রুত গতিতে চলছে রিকশা। কর্মব্যস্ত মানুষও গন্তব্যে পৌঁছাতে বেছে নিচ্ছেন এই অটোরিকশা।
তবে অবৈজ্ঞানিক কাঠামো, প্রশিক্ষণহীন ও বেপরোয়া চালক, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মূল সড়কে দাঁপিয়ে বেড়ানোই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া যানটির। এমন বাস্তবতায় এই বাহনকে অন্তর্ভুক্ত করেই স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ সংশোধন চলছে।
বিআরটিএর পরিচালক (রোড সেফটি) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, ‘এইটার কাঠামোগত যেই সমস্যা আছে তা নির্ধারণ করে নিরাপদ বাহন হিসেবে আনা যায় সেই চেষ্টা চলছে। এইটা আসলে নির্ধারণ করে দেয়া হবে কোন জায়গায় এই বাহনগুলো চলবে।’
এদিকে, নীতিমালার অংশ হিসেবে দুর্ঘটনা ও যাত্রীর নিরাপত্তা বিবেচনায় এই যানের একটি বৈজ্ঞানিক কাঠামো তৈরি করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের একটি দল। অধ্যাপক মো. এহসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের গবেষক দল এতে যুক্ত করেছে হাইড্রোলিক ব্রেক, ইন্ডিকেটরসহ নতুন ১৬টি ফিচার।
বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এহসান বলেন, ‘আমরা ১৬টি মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল চেঞ্জ এখানে এনেছি। তিন চাকায় হাইড্রোলিক ব্রেক সিস্টেম রেখেছি। এইটা আমাদের একটু কস্ট বেড়েছে, তবে বড় ধরনের বিপদ থেকে বাঁচতে পারবো।’
সর্বোচ্চ ৩০ কি.মি গতিতে চলবে এই ইজি বাইক। গতির সাথে তাল মিলিয়ে রাখা হয়েছে ৩টি হাইড্রোলিক ব্রেক। এতে ব্যবহৃত মটরটি কাজ করবে জেনারেটরের মত, প্রতি ব্রেকে তৈরি হবে বিদ্যুৎ।
এই মডেলটি তৈরিতে খরচ পড়বে প্রায় দেড় লাখ টাকা। যা এখন রাস্তায় চলা ইজি বাইক থেকে কিছুটা বেশি। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও দুর্ঘটনা রোধে এর বিকল্প নেই বলে জানান এই অধ্যাপক।